অরিন্দম রায় চৌধুরী, বারাকপুর, বেঙ্গলটুডেঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে শনিবার সকাল ১১:৩০ মিঃ এ ব্যারাকপুর সুকান্ত সদনে আয়োজন করা হয়ে প্রাক পুজো ও মহরম সর্ব ধর্ম সমন্বয় সভার। উক্ত সভায় হাজীর ছিলেন ব্যারাকপুরের নগরপাল সুব্রত মিত্র, ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসক পীযুষ কান্তি গোস্বামী, ডি.সি.(হেড কোয়ার্টার) অমিতাভ ভার্মা সহ বিভিন্ন থানার অফিসাররা। এই দিন সভায় প্রশাসনিক কর্তা ব্যাক্তিদের পাশাপাশি হাজীর স্থানীয় ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং, ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত, বিধান সভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ও সর্ব ধর্মের ধর্মগুরু থেকে শুরু করে বিভিন্ন পুজো উদ্যোগতারা। এই সভা থেকে সকলকে আগামী শারদীয়া উৎসব ও মহরমের বেশ কিছু নিয়ম, যেমনঃ
১. ১লা অক্টোবর কোন বিসর্জন করা যাবে না।
২. নতুন কোন পুজোর অনুমতি হবে না।
৩. ঠাকুরের উচ্চতা সম্বন্ধে সচেতন থাকতে হবে, কারন রাস্তায় হাইটেনশন তারের জন্য। ১৪-১৫ ফুটের বেশি জেন না হয়ে।
৪. জনসাধারনের অসুবিধে করে কোন পান্ডেল যেন না হয়ে।
৫. সাউন্ড লিমিটার লাগাতে হবে।
৬. ফুড স্টলে কোন ওপেন গ্যাস সিলিন্ডার রাখা যাবে না।
৭. ডি জে বা ব্লাক যেনেরেটার ব্যাবহার করা যাবে না।
৮. নিষিদ্ধ বাজী ব্যাবহার নিশিদ্ধ।
৯. গঙা দুষন করা যাবে না।
এই সবই প্রশাসনের তরফ থেকে করা ভাবেই মোকাবিলা করা হবে তাই সর্বতই ইউনিফর্ম পুলিশের সাথে সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে।
পাশাপাশি প্রতিটি পুজো কমিটি গুলিকে পুলিশের পক্ষ থেকে ডি সি হেড কোয়ার্টার অমিতাভ ভারর্মা অনুরোধ করেন পুজোর জাক জমক একটু কাট ছাট করে উত্তর বঙ্গের বন্যা কবলিত এলাকাগুলি তে একটু ত্রানের ব্যাবস্থা করতে।
প্রসঙ্গত একটি পরিসংখ্যান থেকেই পরিস্কার হওয়া যায় মোট কটা পুজো বা মহরম এর অনুমতি প্রশাসন থেকে গত বছর দেওয়া হয়েছিল সমগ্র ব্যারাকপুর মহকুমা জুড়েঃ-
১. দুর্গা পুজো : ১৪১১
২. মহরম : ১৪৩
৩. কালীপূজো : ৫২৯
৪. জগদ্ধাত্রী পুজো : ৭৮
মোট : ২১৬১
পর দিকে দুর্গা পুজো যদি থানা অনুযাই দেখা যায় তাহলে দেখা যাবেঃ
বিজপুর থানাঃ ১৩২ টি
নৈহাটি থানাঃ ৯৪ টি
জগদ্দল থানাঃ ১৮৫টি
নোয়াপাড়া থানাঃ ৬২টি
ব্যারাকপুর থানাঃ ২৮টি
টিটাগড় থানাঃ ১৩৪টি
খড়দহ থানাঃ ১৬০টি
বেলঘড়িয়া থানাঃ ৯৬টি
বরানগর থানাঃ ১২৫টি
ঘোলা থানাঃ ৯৫টি
নিউ ব্যারাকপুর থানাঃ ৫৪টি
নিমতা থানাঃ ৮২
দমদম থানাঃ ১৬৪
এবার যেহেতু নতুন কোন পুজোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না তাই ১৪১১টির বেশি আর কোন পুজো হচ্ছে না তা বলাই বাহুল্য।
ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার সুব্রত মিত্র সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন যেযে নিয়মগুলি ডি.সি (হেড কোয়ার্টার) অমিতাভ ভার্মা বলেছেন তা এবার কঠোরভাবে পুলিশকে বলেছি দেখতে। কোথাও কোন ত্রুটি দেখলেই পুলিশ প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নেবে।