শর্বাণী দে, কলকাতাঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
মানুষ জীবন অতিবাহিত করতে নানান কর্মের সাথে নিজেকে জড়িয়ে রাখে অর্থ উপার্জনের জন্য। কিন্তু অল্প সময় বিপুল অর্থ উপাজনের নেশা বেশ কিছু মানুষকে আজ অসাধু ভাবে ব্যাবস্যা করতে শুরু করায়। অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের হাতে দেখা যায় নানা নামী দামী মোবাইল, গাড়ী ও বাড়ি। আর তাদের এই সব কার্যকলাপই আর সবার চোখে ধরা পড়ে অতি দ্রুততার সাথে। সেখান থেকেই চলে নজরদারি আর একদিন সব ফাঁস হয়ে যায় সবার কাছে। যেমনটি গত পরশু অর্থাৎ ২৭শে মে, ২০১৮ এ হলো।
নামেই বিউটি পার্লার, বা ফ্যামিলি স্পা। আড়ালে রমরমিয়ে যৌনচক্র। বিউটি পার্লারের আড়ালে দেহব্যবসার চক্র নতুন কিছু নয়। শহরের বিভিন্ন্য স্থানে বর্তমানে বেশ রমরমিয়ে চলছিল এই ধরনের অসাধু ব্যাবসা তবে বিভিন্ন সময়েই এই সমস্ত স্থানে গোপনে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে রাজ্য বা কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে।
তবে গত ২৭শে মে-র অভিযানের ব্যাপ্তি ছিল অনেকটাই বড়। পুরো কলকাতা শহর জুড়ে একসঙ্গে পাঁচটি বিউটি পার্লারে হানা দিয়ে মধুচক্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত থাকার অভিযোগে মোট ৫৪ জনকে গ্রেফতার করল ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের অ্যান্টি হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট আর স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ।
শুরুটা সেই টালিগঞ্জের শরৎ বোস রোডের ক্লিওপেট্রা ফ্যামিলি স্পা, এরপর যোধপুর পার্কের আনন্দ অ্যাপার্টমেন্টের পার্লার অ্যান্ড স্পা, তারপর গড়িয়াহাটের ৫এ ডোভার লেনের তিনতলা, এবং কসবার ১০১ শান্তিপল্লী, ব্লক ৭, তিনতলা। পরপর এই সব স্থানে অভিযান চলায় হাতে নাতে ধরা পড়ে বেশ কিছু অসাধু মানুষ এবং সেই সব অভিযুক্তদের জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আবার বাগুইহাটি মার্কেট কমপ্লেক্সের ‘ক্র্যালিয়েট ওয়েলনেস লিডিং ফ্যামিলি সেলুন অ্যান্ড স্পা’ থেকেও ধরা পড়ে বেশ কিছু মানুষজন। ধৃতদের তালিকায় ম্যানেজার, চক্রের মালিক, দালাল – বাদ নেই কেউই।
কলকাতা পুলিশের এই যৌথ অভিযানের ফলে অবশেষে এই সব এলাকার মানুষ যে হাফ ছেড়ে বাচলো তা বলাই বাহুল্য।