ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গলটুডে, বোলপুরঃ
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তার জলবণ্টন সুষ্ঠুভাবে সমাধান করতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সহায়তা একান্ত প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিল, মমতার সঙ্গে হাসিনার বৈঠকের মূল কারণ ছিল সেটাই। কিন্তু বৈঠকের পর উভয়েই স্পিকটি নট। তিস্তা নিয়ে কেউই মুখ খুললেন না। স্রেফ জানালেন এটা একান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ। উভয়ের মধ্যেই বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত শুক্রবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দেওয়ার আগে মমতার আতিথেয়তায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তারপর এদিন কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডিলিট সম্মানে ভূষিত করে। এদিনের অনুষ্ঠানেও বাংলা ও ভারত নিয়ে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন হাসিনা। তারপর সকলেরই চোখ ছিল মমতার সঙ্গে তাঁর বৈঠকে।
উল্লেখ্য শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই বৈঠকে তিস্তা জল বণ্টন নিয়ে আলোচনা হওয়ার যেমন সম্ভাবনা ছিল, তেমনই পদ্মার ইলিশের রফতানি বিষয়ক আলোচনাও হবে, মনে করা হয়েছিল। দুই বাংলার মধ্যে কোন পথে সমাধান সূত্র মিলতে পারে তা নিয়েও নানা জল্পনাও শুরু হয়েছিল, তবে বৈঠক শেষে কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুললেন না।
অবশ্য রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ মনে করছে, এ বিষয়ে আলোচনা হলেও দুই নেত্রী রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতায় মুখ খুলতে চাইছেন না। সময় হলেই তাঁরা বৈঠকের সারবস্তু প্রকাশ্যে আনবেন। দুই দেশ কী সমাধান সূত্রে পৌঁছয়, তাই দেখার। তবে উভয়ের আলোচনা এদিন ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শেখ হাসিনা।