শান্তনু বিশ্বাস, বসিরহাটঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
২৪শে মে বসিরহাট মহকুমা থেকে গ্রেফতার ভাগার কান্ডের মূল অভিযুক্ত। ধৃতের নাম কওসর। এদিন হাসনাবাদ ব্লকের ঢোলটুকারি গ্রামের বাসিন্দা রুহুলামীন মন্ডলের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় কওসরকে।
জানা যায়, হাসনাবাদ ব্লকের ঢোলটুকারি গ্রামের বাসিন্দা রুহুলামীন মন্ডলের বড় ছেলে সিরাজ মন্ডলের ভাইরাভাই কওসর। পঞ্চায়েত ভোটে হাসনাবাদ ব্লকের আমলানী পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর সংসদ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যান সিরিজ মন্ডল। এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই বাড়িতে হানা দিয়ে কওসরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। মুলত ২৩শে মে রাতেই কওসর এবাড়িতে এসেছিল বলে দাবি করেন তৃণমূল নেতার বাবা রুহুলামীন মন্ডল।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বিগত প্রায় কয়েক সপ্তাহ ধরে এই বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল কওসর। ভাগার কান্ড সামনে আসার পরে প্রায় এক মাসের মাথায় হাসনাবাদ থেকে ধরা পড়ে সে। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার সঙ্গে কথা বললে মিথ্যে প্রমানিত হয় রুহুলামীন মন্ডলের দাবি। পঞ্চায়েত ভোটের অনেক আগে থেকেই কওসরের স্ত্রীকে এই বাড়িতে দেখা যায় বলে জানান তিনি। এমনকি গ্রামবাসীদের নজর এড়িয়ে রাতের অন্ধকারে দামী গাড়িতে চেপে ওই বাড়িতে আসত কওসর। তৃণমূল নেতার বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত ৬ মাস আগে সিপিএম থেকে এসে দলে যোগ দিয়েছে সিরাজ। টাকার জোরে দলের টিকিট হাতিয়ে নিয়ে বিরোধীদের উপর সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে এই সব কাজ করছে’। ভোটের সময় সীমান্তে কড়াকড়ি থাকায় তৃণমূল নেতার আশ্রয়ে থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার ছক কসছিল বলেও অনুমান স্থানীয়দের।