ওয়েব ডেস্ক, বেংগল টুডে:
২২ শে মে হিংসার ঘটনার পর ২৩ শে মে তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনের থুটুকুড়ির স্টারলাইট তামার কারখানার সম্প্রসারণের ওপর স্থগিতাদেশ মাদ্রাজ হাইকোর্টের।
অন্য দিকে ২২ শে মে পুলিশের গুলি চালনায় ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় তামিলনাড়ু সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দূষণের অভিযোগে তামার কারখানা সম্প্রসারণ বন্ধের দাবিতে তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে আন্দোলন ঘিরে এদিন পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায় বিক্ষোভকারীদের। পুলিশের গুলিতে ১১ জনের মৃত্যু হয় । আহত আরও কয়েকজন।
এমনকি ঘটনার দিন কালেক্টরেট অফিসে ঢুকে পড়ে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা। ৫০টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালানো হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।
আন্দোলনকারীদের দাবি, বেদান্ত লিমিটেডের কপার ইউনিট স্টারলাইট কপার কারখানা থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে। তুতিকোরিনের প্রতি পরিবারে ২ জন অসুস্থ। অধিকাংশই শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ, হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মতো মারণ অসুখে ভুগছেন। কারখানা বন্ধের দাবিতে তিনমাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে আন্দোলন। গতকাল সমাবেশের ডাক দেন আন্দোলনকারীরা। স্টারলাইট কপার বেদান্ত গোষ্ঠীর। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম প্রাকৃতিক সম্পদ কোম্পানি। তুতিকোরিন বন্দরের ১০ শতাংশ পণ্য এই কারখানারই। কর্মীর সংখ্যা ১,৩০০।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, তামিলনাড়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ গত ৯ ই এপ্রিল ২০ বছরের পুরানো স্টারলাইট কপারের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের আর্জি খারিজ করে দেয়। উত্পাদন বন্ধ হয়ে যায় কারখানায়। কিন্তু আন্দোলনকারীরা মনে করেন, এটা একেবারেই সাময়িক। তাঁরা স্থায়ীভাবে ওই কারখানা বন্ধের দাবি জানান। ২২ শে মে প্রায় ২০ হাজার আন্দোলনকারী, যাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ মত্স্যজীবী কালেক্টরেট অফিস অভিমূখে মিছিল বের করেন।
স্টারলাইটের দাবি, তারা পরিবেশ বিধি যথাযথভাবে মেনেছে। কারখানার বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দেয় অনেকগুলি অ-ডিএমকে এবং অ-এআইএডিএমকে গোষ্ঠী। সেগুলির মধ্যে ছিল ইলম তামিল জাতীয়বাদ পন্থী সংগঠন।
এছাড়াও পরিবেশকর্মী ও অভিনেতা কমল হাসানের নতুন দলও আন্দোলনে সামিল হয়। গতকালের গুলি চালনার পর ডিএমকে আগামী ২৫ মে সর্বদলীয় প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে।