বেঙ্গলটুডে প্রতিনিধি, ঢাকা:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
পবিত্র মাহে রমজান ও সেশন জটের কথা চিন্তা করে পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। তবে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। একটি অতি উৎসাহী কুচক্রী মহল সরকারকে বিব্রত করতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে দাবি তাদের। একইসঙ্গে কবি সুফিয়া কামাল হলে আন্দোলনকারী ২৫ শিক্ষার্থীকে শোকজের নামে কোনো প্রকার হয়রানি না করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তারা। ১৯ শে মে শনিবার কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল হক নুর বলেন, যারা হুমকি দিচ্ছে তারা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী। তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করে না। আর যারা হুমকি দিচ্ছে তাদের অধিকাংশই কোটাধারী। শিগগিরই এসকল কুচক্রী মহলকে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। সুফিয়া কামাল হলে যে ২৫ জনকে শোকজ করা হয়েছে সেটি উদ্দেশ্যমূলক বলে দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা অংশগ্রহণ করেছে, তাদের ওপর নানা রকমের হুমকি আসছে, গত ১৭ মে রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম রায়হানকে ছাত্রলীগ নেতারা শিবির ট্যাগ দিয়ে মারধর করে হল থেকে বের করে দিয়েছে৷ আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, সারা দেশে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি করছি। তিনি বলেন, সুফিয়া কামাল হলে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনার কারণ দর্শানোর (শোকজ) নামে সাধারণ ও নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ করা হল।