সন্দীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রাম:
লালগড় কে গেরুয়া করে দিয়েছি। আর ৬মাসের মধ্যে বাংলার সিনারিও বদলে দেব। জঙ্গলমহলে বিজেপির উত্থানের পর এক সংবর্ধনা সভায় ১৯শে মে ঝাড়গ্রাম বিজেপির পার্টি অফিসে এসেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ। এদিন তিনি রীতি মতো হুমকির সুরে বলেন রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের গায়ে হাত পড়লে তার জবাব ঝাড়গ্রামে নেওয়া হবে।
দীলিপ বাবু বলেন, সারা বাংলার সন্ত্রাসের জবাব জঙ্গলমহল থেকে দেওয়া হবে। এখানে একটিও তৃণমূলের ঝান্ডা,কর্মী,পার্টি অফিস থাকবেনা। বিজেপি তৃণমূলের লাল চোখকে ভয় পাই না। আর পুলিশ দিয়েও ভয় দেখানো যাবে না। পুলিশই বেশি ভয় পায়। যেখানে পুলিশ অত্যাচার করবে সেখানে দুহাজার লোক কে নিয়ে থানা ঘেরাও করুন। সারাদিন ঘেরাও করে রাখুন। পায়খানা, পেচ্ছাব পর্যন্ত করতে যেতে দেবেন না। এদিন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্যের পর দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে এক সংবর্ধনা সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি জঙ্গলমহল থেকে তৃণমূল শূন্য করার ডাক দিয়েছেন। এর সাথে সাথে বদলা নেওয়ার কথা বলেন। এদিন ঝাড়গ্রামের সংবর্ধনা সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি প্রার্থী, কর্মীদের ভয় পেতে না করছেন।
তিনি বলেন, “ভয় পাবেন না, নিজেকে দূর্বল ভাববেন না। দল আপনার পাশে আছে। যারা এত দিন কষ্ট দিয়েছে তাদের দিন শেষ। বোর্ড গঠনের দেরী আছে। টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা হবে। পুলিশ ভয় দেখাবে। দরকারে পুলিশ, ডিএম অফিস ঘেরাও করুন। মানুষের বিশ্বাস নিয়ে জিতেছি। লোকসভা ভোট আর এক বছর আছে। কাজ করে দেখান। মানুষকে বলবেন আমরা এক বছরে কি কাজ করেছি। পুলিশ, বিডিও, এসডিওরা প্রভুভক্তি দেখাচ্ছে। তাদের বলি তৃণমূল আর তিন বছর। আপনাদের চাকরি অনেক দিন বাকি। অনেক কষ্ট হবে শেষ দিনে। তৃণমূল যদি জিতে মনে করে হাত, পা ভাঙবে, খুন করবে —তাহলে যেখানে আক্রমন হবে তার জবাব আমরা জঙ্গলমহলে দেব। যদি আক্রমন, অত্যাচার বন্ধ করে তাহলে সারা বাংলার জবাব আমরা জঙ্গল মহলে দেব। বিয়াল্লিশ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। লোক সভায় ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দেবে কত ধানে কত চাল। জঙ্গলমহলে দুটাকা কেজি পচা চাল খায়িয়ে কি মানুষকে কিনে নিয়েছিল? গরু, ছাগল মনে করে পচা চাল খায়িয়ে ছিল। পশু,পাখি নাকি?কেই বাধা নয়, কেউ গোলাম নয়। এবার নির্বাচনে ১৯ জন আমাদের কার্যকর্তা মারা গিয়েছে.বারোশো আহত হয়েছে। নমিনেশনের দিন ৪৭৫ জায়গায় আক্রমন ঘটেছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ছিল। বুক চিতিয়ে আমাদের কর্মীরা লড়াই করেছে। সমবেত লড়াইতে সাফল্য এসেছে। তৃণমূল বুঝে গিয়েছে।”
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দিলীপ বাবু বলেন অনেক ক্ষেত্রই পঞ্চায়েত যেখানে ত্রিশঙ্কু হয়ে আছে সেখানে অনেক নির্দল বিজেপির সাথেই আছে। অনেক নির্দলদের কৌশল গত কারনে দলীয় প্রতিক দেওয়া হয়নি।তারা বিজেপিতে আছেন। এদিনের বিজেপির কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধরী, ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপি সভাপতি সুখময় শতপথি, রাজ্য সধারণ সম্পাদক তুষার ঘোষ, তুষার মুখোপাধ্যায় সহ প্রমুখ।