অরিন্দম রায় চৌধুরী, ব্যারাকপুরঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
১৮ই মে, ২০১৮ বিকেল ৫টা থেকে ব্যারাকপুর সুকান্ত সদনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্ব কালের কালজয়ী গান ও নৃত্যনাট্য সদনে উপস্থিত সকল দর্শকের সামনে উপস্থাপন করলো ব্যারাকপুরের ভেনাস ড্যান্স গ্রূপ। এই মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে এই দিন মঞ্চে ছোট ছোট কচিকাঁচাদের নৃত্য উপস্থিত সকল দর্শকের মন জয় করে। সম্পূর্ণ এই অনুষ্ঠানটি এই দিন কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে নিবেদিত হলো।
[espro-slider id=7040]
ভেনাস ড্যান্স গ্রূপের তরফে তাদের বর্ষীয়ান সদস্য প্রণব রায় বেঙ্গল টুডেকে বলেন, ” এটা আমাদের ১১তম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, তবে আমরা এই অনুষ্ঠান প্রতিবছর নানা ভাবে করে থাকি, কিন্তু এই বছর যেহেতু কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭তম জন্মজয়ন্তী পালিত হচ্ছে তাই এই কবি পক্ষে আমাদের এইবারের অনুষ্ঠানটি পুরোটাই উৎসর্গ করছি রবীন্দ্রনাথের গান ও তার নৃত্যনাট্য দিয়ে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের এই অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ হলো আজকের প্রজন্মকে রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টির সাথে অবগত করানো।” এই অনুষ্ঠানেও যে তারা রবীন্দ্রনাথকে কতটা তাদের মননে ধরে রেখেছেন তা বোঝা গেল এই ভেনাস ড্যান্স গ্রূপের এই বর্ষীয়ান সদস্যের কথায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাওয়া নোবেল পুরস্কার পাওয়া ও তা হারানোর ব্যাপারে বলতে গিয়ে তিনি বেশ ভাবুক হয়ে পড়েন ও বলেন, “নোবেল পুরস্কার কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পেয়েছিলেন যা ভারত তথা বাংলাকে গর্বিত করেছিল। এই পুরস্কার বাঙ্গালীর কাছে পরম ভাগ্য বা সৌভাগের ব্যাপার। আর দেখুন তার পাওয়া সেই নোবেল পুরস্কার আমরা ভারতীয় হিসেবে বলুন বা বাঙ্গালী হিসেবে বলুন রক্ষা করতে পারলাম না, সেটা একজন ভারতীয় ও বাঙালী হিসেবে আমাদের কাছে খুবই বেদনা দায়ক, তাই ভারত ও রাজ্য সরকারের কাছে এই কবি পক্ষে একজন ভারতীয় ও বাঙালী হিসেবে আমার অনুরোধ যে সংস্থার মাধ্যমেই হোক ফিরিয়ে আনুন আমাদের গর্ব।
[embedyt] https://www.youtube.com/watch?v=RsL95_2EP_w[/embedyt]
এই দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে উল্ল্যেখ্য ছিলেন ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান উত্তম দাস, ব্যারাকপুর পৌরসভার ২২নং ওয়ার্ডের পুরমাতা মনীষা চক্রবর্তী, প্রাক্তন পুরপিতা শম্ভুনাথ চক্রবর্তী, এলাকার খ্যাতনামা নৃত্য ও অঙ্কন শিল্পী ও শিক্ষক তিমির রায়। এনারা সকলেই এই অনুষ্ঠানের জন্য এই ভেনাস ড্যান্স গ্রূপের পরিচালিকা সোনিয়া দত্ত ব্যানার্জি-র এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানান। বিশেষ করে সমগ্র অনুষ্ঠানে নৃত্যারত সমস্ত ছোট্ট ছোট্ট কচিকাঁচাদের দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মত একজন বিশ্বকবির জীবনী তুলে ধরা নিশ্চিত ভাবে প্রশংসার দাবী রাখে।