মিজান রহমান, ঢাকা:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
ইউনিসেফের সর্বশেষ এক রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের শিশুরা মাতৃদুগ্ধ পানের সুযোগ কম পায়। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মা দিবস পালনের প্রেক্ষাপটে ইউনিসেফ ১৩ মে এই রিপোর্ট প্রকাশ করে। রিপোর্টে শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার মায়েদের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু একই সঙ্গে বাংলাদেশের মায়েদের প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে থাকার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী ভুটান, নেপাল ও শ্রীলংকায় ৯৯ শতাংশ এবং আফগানিস্তানে ৯৮ শতাংশ শিশুকে শিশু কালে বুকের দুধ খাওয়ানো হয়। বাংলাদেশ ছাড়া এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশে এই হার ৯৪ থেকে ৯৭ শতাংশ। রিপোর্টে বলা হয়. বাংলাদেশে নবজাতকদের মাত্র ৫১ শতাংশকে জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করা হয় এবং ছয় মাসের কম বয়সী ৫৫ শতাংশ শিশুকে কেবল বুকের দুধ খাওয়ানো হয়।
ইউনিসেফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বুকের দুধ খাওয়ানোর অভ্যাস যাতে কমে না যায় তার জন্য সংস্থাটি বাংলাদেশে কয়েক বছর ধরে অনেক সহায়ক উদ্যোগ নিয়েছে। ইউনিসেফের ভাষ্য হচ্ছে শিশুদের সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেড়ে ওঠা এবং মৃত্যুর হার কমিয়ে আনার জন্য জন্মের পর থেকে প্রতিটি শিশুকে দুই বছর এবং সম্ভব হলে তার বেশি সময় বুকের দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন। কেবল তাই নয় দীর্ঘ সময় ধরে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো মায়ের স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। একজন মা যদি এক বছর তার সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান তাহলে তার স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ৬ শতাংশ কমে যায়।