সন্দীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রাম :
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
রাম আর বাম এক। রামের ভোট কমলে বামের ভোট বাড়ে। বামের ভোট এদিক ওদিক হলে রামের ভোট বাড়ে। পশ্চিমবঙ্গরে সংস্কৃতি, কৃষ্টিকে আজ কোন জায়গায় নিয়ে যেতে চলেছে ছোট ছোট শিশুরা যখন পিঠে ব্যাগ, হাতে কলম, বই নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে তখন তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে। রামনবমীতে বাচ্চাদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে সন্ত্রাসবাদী বানাবে নাকি। মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করছে,মানুষের বিরুদ্ধে মানুষকে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভারতীয় জনতা পার্টি বলতে ঘৃনা হয়। এরা ভারতীয় জঞ্জাল পার্টি, ভারতীয় জঘন্য পার্টি, ভারতীয় ঝুটা পার্টি। আগে জঙ্গলমহলে মানুষের মৃত্যু মিছিল বের হয়। এখন মানুষের মিছিল বের হয়। মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তনে জন্য এখন সেই মিছিলে মানুষ পায়ে হেঁটে তৃণমূলের সভায় আসছে। বিজেপি যত গুলো ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়েছে ততগুলো ভোট পাবেনা।
১১ই মে ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুরের দহিজুড়িতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসে রাজ্যের সেচ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় একদিকে বিজেপি এবং সিপিএমকে তুলধনা করছে। এর সাথে গত সাত বছরে রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে তা তুলে ধরেন রাজীব বাবু। এদিন রাজীব বাবু সভামঞ্চ থেকে বলেন, “৩৪ বছরে সিপিএম মানুষের জন্য কিছু করেনি। মানুষকে শুষে নিয়েছে। আপনাদের শোষন করেছে। আজ কোন মুখে তারা ময়দানে এসে ভোট চাইছ? আজ আপনাদের মুখের হাসি প্রমান করছে জঙ্গলমহলে কি উন্নয়ন হয়েছে। আমরা মানুষের পাশে সর্বদা থেকেছি বলে আমরা বারবার চেয়েছি মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। যাতে তারা নতুন করে পঞ্চায়েত গঠন করতে পারে। আজ যারা ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন লাগাচ্ছেন তাদের কাছে প্রশ্ন করতে চাই আপনাদের সঙ্গে মানুষের কোন যোগাযোগ নেই, মানুষের সাথে কোন সম্পর্ক নেই, বিগত দিনে আপনারা কিছু করে যেতে পেরেছেন এমন কোন নিদর্শন রেখে যেতে পারেন নি। পায়ের তালায় মাটি নেই, জন সমর্থন নেই বলে আপনারা আমাদের মতো যারা তৃণমূল করে তারা যখন মানুষের কোর্টে কোর্টে ঘুরে বেড়াচ্ছি তখন আপনারা সুপ্রীম কোর্ট হাই কোর্ট করছেন। চান নি পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক। মোদি বলেছিল আচ্ছা দিন আসবে। ১৫ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্কে দেবে বলেছিল। একজন বিজেপির কর্মীর ব্যাঙ্কে সেই টাকা ঢুকেছে প্রমান দিতে পারবে। এর থেকে বড় মিথ্যাবাদী পার্টি আর নেই।”
এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের লালগড়েও একটি সভা ছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারনে তা বাতিল হয়েছে। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি, বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা, জেলাপরিষদের প্রার্থী তপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ প্রমুখ।