সর্বাণী দে, বেঙ্গল টুডেঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
৯ই মে এদিন বাংলায় ২৫ শে বৈশাখ। আর এই দিনটি বাঙালী তথা গোটা বিশ্ব বাসীর কাছে বেশ স্মরণীয় একটি দিন। কারন এই দিনে জন্মগ্রহন করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর। তিনি কেবল কবি ছিলেন তা নয় একাধারে কথাসাহিত্যিক, কবি, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ছড়াকার, দার্শনিক-চিন্তাবিদ, শিক্ষাবিদ, সংগীতজ্ঞ, বিজ্ঞানী, কৃষিবিদ, সমবায়ী, আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্রপ্রেমী, মঞ্চনকশাকার, চিত্রশিল্পী, পরিবেশবিদ এবং সমাজসংস্কারক প্রভৃতি।
এছাড়াও তিনি ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাঁকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। এমনকি রবীন্দ্রনাথকে গুরুদেব, কবিগুরু ও বিশ্বকবি অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথ বাঙালির চিন্তা-চেতনা ও মননের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছেন। বাঙালির সুখ-দুঃখ, আবেগ-ভালোবাসা, আশা-আকাঙ্ক্ষা সহ এমন কোনো অনুভূতি নেই যা রবীন্দ্রনাথ স্পর্শ করেননি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের একজন দিকপাল, উজ্জ্বল নক্ষত্র।
রবীন্দ্রনাথ রচিত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ আমাদের জাতীয় সংগীত। এই গান জাতীয় ঐক্য ও সম্প্রীতির স্মারক। যেকোনো দুর্যোগ-সংকটে ও আনন্দ-বেদনায় রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যসম্ভার শক্তি ও সাহস জোগায়। তার সাহিত্যপাঠে আমরা আনন্দিত হই-আন্দোলিত হই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিরল প্রতিভার অধিকারী এই অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি কেবল আমাদের সৃজন-মনীষার প্রতীকে পরিণত হননি, তার সৃষ্টিকর্ম বিশ্বের সব মানুষের কাছে আদৃত হয়েছে। তার প্রজ্ঞা, দর্শন, সৃষ্টিশীলতা, উদার মনোভাব ও মানবতাবোধ বিশ্ববাসীর কাছে সুপরিচিত। তার কাব্যপ্রতিভার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯১৩ সালে তিনি ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম নোবেল সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে বিশ্বদরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অনন্য উচ্চতায়।
এদিন এই মহান কবির ১৫৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের ন্যায় উত্তর ২৪ পরগণার ব্যারাকপুরেও বেশ কয়েকটি স্থানেও ধুম ধামের সাথে উদযাপিত হয় এই দিনটি। এদিন কবিগুরুর জন্মদিন উপলক্ষে ব্যারাকপুরের বিবেক ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে ব্যারাকপুর আনন্দপুরী হরহল প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দও।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এলাকার কাউন্সিলার তথা এই গোটা অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিলেন মিলন কৃষ্ণ আঁশ ও বিশিষ্ট সমাজ সেবী গোপাল পাল। এদিনের কবীর সেন বরাটের পরিচালনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চন্ডালিকা’ নৃত্যনাট্য, এছাড়া আবৃত্তি করেন ব্যারাকপুরের ‘কথিক’ সংগঠন, এবং সঙ্গীতে শিল্পী মিত্রা বন্ধ্যোপাধ্যায় ও ‘মেঘমল্লার’।
অপরদিকে কবিগুরুকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে এদিন ব্যারাকপুর ২২ নং ওয়ার্ডে এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। তবে এই অনুষ্ঠানে কেবলমাত্র ওই এলাকার মহিলারা উদ্যোগ গ্রহন করেন এবং এলাকার বিভিন্ন ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। তবে অনুষ্ঠানটি উদ্যোক্তা ছিলেন ওই এলাকার কাউন্সিলার মানসী চক্রবর্তী। এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওই এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলার শম্ভু নাথ চক্রবর্তী, ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার আরতি ছেত্রি সহ উপ পৌর প্রধান দেবাশিস ঘোষ দস্তিদার। এছাড়া ছিলেন স্থানীয় বহু মানুষ। এদিনের এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় সব শিল্পীদের গান, কবিতা, আবৃত্তি, এবং পূজারী নৃত্যনাট্য অনুষ্ঠিত হয়।