সন্দীপঘোষ, ঝাড়গ্রাম:
চিকিৎসার গাফিলতিতে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠল গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ৬ই মে সকাল ১১টা নাগাদ ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর পর রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা হাসপাতালের বাইরে মৃত শিশুকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এমনকি বিক্ষোভরত রোগীর আত্মীয় পরিজন ও স্থানীয় মানুষজনেরা হাসপাতালে জরুরী বিভাগের পাশে একটি কক্ষে ভাঙ্গচুর চালায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতির সামাল দেন।
অভিযোগ ৫ই মে রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও কোনও চিকিৎসক শিশুটিকে দেখতে আসেননি। বারে বারে হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সদের চিকিৎসক ডাকার কথা বললেও শিশুটির পরিবারের। কথায় কর্ণপাত করেননি। উল্টে শিশুর পরিবারের লোকজনদের বকাবকি করেন বলেও অভিযোগ।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, গোপীবল্লভপুরের বংশিধর পুরের ডুমুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা রামজাদ হাঁসদার এক বছর বারো দিনের শিশু দীপক হাঁসদার বমি ও পায়খানা নিয়ে শনিবার রাত সাড়ে বারোটা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
মৃত শিশুর বাবা রামজাদ বাবু বলেন, ৫ইমে রাতে ভর্তি করানোর পর আর কোনও চিকিৎসক বা নার্স আমার ছেলেকে দেখতে আসেননি। পরে এদিন সকালে আমার ছেলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আমি জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত নার্সদের চিকিৎসক ডাকার কথা বললে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। এমনকি আমার পরিবারের লোকজনেরা হাসপাতালে আমার শিশুকে দেখতে আসলে তাদেকে হাসপাতালে ঢুকতে দেননি হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা। পরে যখন চিকিৎসক হাসপাতালে আসেন ততক্ষনে আমার ছেলে মারা গিয়েছে। এবিষয়ে আমরা গোপীবল্লভপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
এবিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশ্বিনী কুমার মাঝি বলেন, শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি করানোর সময় জরুরী বিভাগের চিকিৎসক গৌতম ঘোষ দেখেছিলেন। শিশুটির মা কে দুধ খাওয়াতে নিষেধ করেছিলেন। তা সত্ত্বেও শিশুটির মা তাকে দুধ খাইয়েছিলন। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখা হবে। যদি কোনও চিকিৎসকের গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।