বেঙ্গলটুডে প্রতিনিধি, ঢাকা:
‘বোনেরা নিজেদের দুর্বল ভাববেন না’- বিপ্লবী নারী প্রীতিলতার লেখা শেষ চিঠির এই উদ্ধৃতি দিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলার প্রতিটি নারীই সাহসের বাতিঘর। প্রত্যেক নারীই তার নিজের অধিকার নিজেই প্রতিষ্ঠা করে। পরাধীনতা থেকে মুক্ত হতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে প্রীতিলতা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তা সকল নারী তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যুগ যুগ অনুপ্রেরণা যোগাবে। বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়েদ্দেদারের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৫ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ভোরের কাগজ ও প্রীতিলতা ট্রাস্ট্র এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
স্পিকার আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামের ফসল। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে নেতাজী সুবাষ চন্দ্র বসু, মাস্টার দা সূর্য্যসেন, প্রীতিলতা, বিনোদ বিহারীর আত্মত্যাগ অবস্মরণীয়। একইভাবে পাকিস্তানি জান্ডার বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আপোসহীন নেতৃত্ব ও ত্যাগের কারণেই পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের এবং বাঙালি জাতি পেয়েছে স্বাধীন পতাকা। ১৯৮১ সালে মহিয়সী নারী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর শুরু করেন গণতন্ত্র রক্ষা ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার আন্দোলন। তারই বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। সে কারণে তিনি আজ বিশ্ব নারী নেতৃত্বের পথিকৃত।
ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক হান্নানা বেগম, নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবীর, নাট্য ব্যক্তিত্ব শম্পা রেজা, প্রীতিলতা ট্রাস্ট্রের সাধারণ সম্পাদক পংকজ চক্রবর্তী প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিজেরা করি’র নির্বাহী পরিচালক খুশি কবীর। অনুষ্ঠানের শুরুতে মঙ্গল প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলন করেন খেলাঘরের শিল্পীরা।