সন্দীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রামঃ
পরীক্ষার আগের দিনই অর্থাৎ ৫ই মে একাধিক লাক্সারী বাসে করে উত্তর ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকায় পরীক্ষা দিতে যাওয়ার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ছাত্রদের থাকা খাওয়ারও ব্যাবস্থা করে দেন সাংসদ ডাক্তার। সাংসদের এই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে জঙ্গল মহলের ডাক্তার রাও উদ্যোগী হন। ভবিষ্যৎ এর ডাক্তার ভাইরা, রাস্তায় শারীরিক কোনো সমস্যা যাতে অসুবিধায় না পড়ে তার জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার শুকলাল মান্ডি ও জয়ন্ত মাহাত, এবং এন.আর.এস মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার সুশান্ত মন্ডল সহ একাধিক ডাক্তাররা প্রতিটা বাসে একজন করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর তার জেরেই সমস্ত টেনশন ভুলে ছাত্ররা এখন শুধুই পরীক্ষায় মনোনিয়োগে ব্যাস্ত।
ওয়েষ্টবেঙ্গল জয়েন্টে থাকার সময় ঝাড়গ্রামের ছাত্র ছাত্রীরা ঝাড়গ্রামেই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেতেন। কিন্তু NEET হওয়ার পরে নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার্থীরা তিনটা অপসন অর্থাৎ খড়গপুর, সেন্ট্রাল কোলকাতা, হাওড়া দেওয়ার পরও তাদের পরীক্ষার সিট উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গা অর্থাৎ মধ্যমগ্রাম, বারাসাত, কাচরাপাড়া সহ একাধিক জায়গায় দেওয়া হয়। ফলে চরম সমস্যায় পড়ে ছাত্ররা। পরীক্ষায় মনোনিবেশ এর পরিবর্তে অচেনা জায়গায় পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আনুষঙ্গিকতাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে তারা।
এই সময় তারা ঝাড়গ্রামের সাংসদকে সমস্ত বিষয় জানায়। দলের সুপ্রিমোর নির্দেশে তিনি তখন দিল্লীতে রাষ্ট্রপতির কাছে নিপিড়িত দের নিয়ে। সমস্যার সমাধানে তিনি মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন বলেন। কিন্তু তার আগে দিল্লী থেকেই ছাত্রদের জন্য পরীক্ষার অনুষাঙ্গিক সমস্ত ব্যাবস্থার নির্দেশ দেন। নিজে ফিরে আসেন ঝাড়গ্রামে। দাঁড়িয়ে থেকে জঙ্গলমহলের আগামী দিনের ডাক্তার ভাইদের শুধু পরীক্ষায় মনোসংযোগের পরামর্শ দেন।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, জঙ্গলমহলের মা বিশ্বের মানব সভ্যতার উদ্বর্তন চান। এটা শুধু আমি বলছিনা। জেনেভা তে গিয়ে দেখেছি বিশ্বের ১৭৮ টি দেশের জনপ্রতিনিধি রা উনার প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল। শুধু তাই নয় দেশের পার্লামেন্টেও দেখেছি যে রাজ্যের যে দলের বা যে জাতি বর্নের ই হোক না কেনো তার প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল। আমি ক্ষুদ্র এক মানুষ। এটা আমার উনার কর্মজগতের প্রতি অঞ্জলি। আপনারা মিডিয়া মানবসভ্যতার উদ্বর্তনে গুরুত্বপূর্ন অংশ। আপনারা বিচার বিশ্লেষণ করুন আমরা আমাদের পুজো করি।
দিশেহারা ছাত্ররা সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষার অব্যবস্থার কথা জানালেও, সাংসদ ও ডাক্তার দিদিকে কাছে পেয়ে ও তাঁর পরামর্শ পেয়ে, সব ভুলে তারা তাদের ডাক্তার দিদিকে কথা দেয়,সফল হয়ে মুখ্যমন্ত্রী র স্বপ্নের জঙ্গলমহল কে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।