ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গল টুডেঃ
৪ ঠা মে সুইডিশ একাডেমি এক বিবৃতিতে চলতি বছরের সাহিত্য নোবেল পুরস্কার স্থগিত ঘোষণা করেন। মুলত ১৯০১ সালে নোবেল পুরস্কার চালু করার পর এই প্রথম সবচেয়ে বড় ধরণের কেলেঙ্কারির মুখে পড়েছে সুইডিশ একাডেমি। জানা যায়, প্যানেলের এক সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় পিছিয়ে দেওয়া হল ২০১৮ সালের নোবেল সাহিত্য পুরস্কার। পাশাপাশি সুইডিশ অ্যাকাডেমি জানিয়েছে, ২০১৯ সালের বিজয়ীর সঙ্গেই ঘোষণা করা হবে ২০১৮ সালের বিজয়ীর নাম-ও।
স্থানীয় এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুইডিশ সংস্কৃতির ক্ষেত্রের জনপ্রিয় তথা প্রভাবশালী মুখ জাঁ-ক্লদ আহনোর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন অন্ততপক্ষে ১৮ জন মহিলা। 'মিটু'-প্রচারের মাধ্যমে ওই মহিলারা জানান, বিভিন্ন সময় তাঁদের জাঁ-ক্লদের হাতে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি এবং যৌন-হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। যদিও, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অ্যাকাডেমি পুরস্কার বিজয়ী তথা কবি কাতারিনা ফ্রস্টেন্সনের স্বামী জাঁ-ক্লদ। কিন্তু, তাতে বিতর্ক থামেনি, উল্টে বিগত কয়েক সপ্তাহে তা ক্রমশ বেড়ে গিয়েছে। এমনকি অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকে এই নিয়ে কমিটির সদস্যদের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়। যার জেরে ১৮ সদস্যের মধ্যে ৬ জন পদত্যাগ করেন। সেই তালিকায় রয়েছেন স্থায়ী সচিব সারা দানিয়াস।
এক্ষেত্রে অ্যান্ডার্স ওলসন জানান, বর্তমান সদস্যরা পুরো পরিস্থিতির সঙ্গে অবগত। সকলেই একমত যে, চারদিক থেকে খোলনলচে পাল্টে দেওয়া এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিবর্তনের যে দাবি উঠেছে, তা বাস্তবসম্মত।
প্রসঙ্গত, ১৭৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সুইডিশ অ্যাকাডেমি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্য ১৯৪৩ সালে নোবেল পুরস্কার দেওয়া যায়নি। এছাড়া আরও সাতবার কমিটি সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—১৯১৫, ১৯১৯, ১৯২৫, ১৯২৬, ১৯২৭, ১৯৩৬ এবং ১৯৪৯। এর মধ্যে পাঁচবার পরের বছরের সঙ্গে আগের বছরের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।