34 C
Kolkata
Friday, March 29, 2024
spot_img

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন : ঝুঁকিপূর্ণ ধারা বাতিলের দাবি টিআইবির

মিজান রহমান, ঢাকা:

প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ঝুঁকিপূর্ণ ধারাগুলো বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে মুক্ত পরিবেশে স্বাধীনভাবে বাক-স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার চর্চা অব্যাহত রাখতে পারে সেজন্য এসব ধারা বাতিল চায় টিআইবি। ২রা মে এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব দাবি জানান। সংস্থাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৮ ধারা পুনর্বিবেচনা করে ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা বাতিলের দাবি জানায়। পাশাপাশি খসড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মী সহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে অগ্রসর হওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সকল নাগরিকের বাক-স্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতের সাংবিধানিক অঙ্গীকার ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। ডিজিটাল নিরাপত্তার নামে প্রস্তাবিত আইনটি প্রণীত হলে শুধু মত প্রকাশের ক্ষেত্রেই নয়, গণমাধ্যমকর্মীদের পাশাপাশি সকল নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার চর্চার ক্ষেত্রে অধিকতর নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।’ এছাড়া যৌক্তিক বিধিনিষেধ সাপেক্ষে সংবিধান মত প্রকাশের যে স্বাধীনতা দিয়েছে, তা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার কাছে অসহায় উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী সহ মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই একদিকে অভূতপূর্ব ভীতি ও অন্যদিকে ভীতি প্রসূত স্বআরোপিত সেন্সরশিপ চাপিয়ে দিয়েছে, যা বাক্-স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীন দায়িত্ব পালনের প্রধান অন্তরায় বলে বিবেচিত হচ্ছে। খসড়াটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের পক্ষ থেকে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ সত্ত্বেও ধারাগুলো সংশোধন না করেই সংসদে উত্থাপিত হওয়া হতাশাজনক।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এ আইনের ফলে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতি সহ ক্ষমতার অপব্যবহারের তথ্য প্রকাশ যেমন অসম্ভব হয়ে পড়বে, তেমনি এসব অপরাধের সুরক্ষার মাধ্যমে অধিকতর বিস্তৃতি ঘটাবে। সরকার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিতের যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে প্রস্তাবিত আইনটি সেক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করবে।

তিনি আরও উল্লেখ করে বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের পাশাপাশি জনগণ, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম সহ সকল নাগরিক যাতে সকল ধরনের ভয় ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন ও বাধাহীন মতামত প্রকাশ করতে পারে তার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ পর্যায়ে খসড়া আইনটির সংশোধনের দায়ভার সংসদীয় কমিটির ওপর ন্যস্ত হবার কারণে কমিটিকে অবশ্যই ইতিবাচক ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

Related Articles

Stay Connected

17,141FansLike
3,912FollowersFollow
21,000SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles