শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়াঃ
২০০৯ সালের ২০ডিসেম্বর হাবড়ার ২নম্বর রেলগেটের কাছে রক্তদান শিবিরে যোগদান করার পর আততায়ীদের হাতে খুন হয় হাবড়ার তৎকালীন ডাকসাইটে কংগ্রেস নেতা বাপী চৌধুরী। মূলত প্রকাশ্যে রাস্তায় ফেলে গুলি করে ও পরে বোমা মেরে খুন করা হয় বাপী চৌধুরী। এমনকি ঘটনার সময় বাপী চৌধুরীকে বাঁচাতে আসায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন রনজিৎ দাস ওরফে নিগ্র। জানা যায়, রনজিৎ হাবড়া কলেজের তৃনমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিল।
পুলিশ সুত্রে খবর, ঘটনার পর তদন্ত শুরু করেন হাবড়া থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ হুগলির শ্রীরামপুর এলাকার জিসু ,ধর্মেন্দ ও জিতেন্দ্র নামে সুপারী কিলার সহ হাবড়ার কয়েকজন চক্রীদের গ্রেফতার করে। ধরা পরে ভোলা দাস ,পাপ্পুর মত দূস্কৃতিরাও। তবে এই ঘটনার পর থেকেই মুল অভিযুক্ত পলাতক ছিল। ১লা মে প্রায় ৯ বছর বাদে গ্রেফতার হয় জোরা খুনের মুল আসামী রাজু দাম। রাজুর বাড়ি হাবড়ার হিজলপুকুর এলাকায়।
বাপী চৌধুরীর পরিবারের দাবী মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ট ছিল রাজু দাম তাই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে এবার গ্রেফতার হওয়ায় তার কঠিন শাস্তি চান পরিবার। তাই এখন খাদ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পরিবারের আবেদন যাতে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হয় তার ব্যবস্থা করা হয়।