পল মৈত্র, দক্ষিন দিনাজপুরঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
হরিরামপুরের পালক থেকে বাদ গেলো সোনা। দল বিরোধী কাজের জন্য দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল-কংগ্রেস নেতা শুভাশিস পাল ওরফে সোনা পালকে বহিষ্কার করল জেলা তৃণমূল-কংগ্রেস। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশে ১লা মে বালুরঘাট পৌরসভার সুবর্ণতটে সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ঘোষণা করেন তৃণমূল-কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র। ৬ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয় শুভাশিস পালকে। যদিও জেলা সভাপতির এই ঘোষণাকে মেনে নিতে নারাজ শুভাশিস পাল।
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের জন্য আর মাত্র ১২ দিন বাকি। তারপরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই সামনে এগিয়ে আসছে ততই তৃণমূলের মধ্যে দলীয় গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। মূলত তৃণমূলের হয়ে টিকিট না পেয়ে অন্য প্রতীক নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নও দাখিল করেছে। আর এই কাজে যুক্ত রয়েছে নিজেকে তৃণমূল বলে দাবি করা বেশ কয়েকজন নেতা। এইভাবে চলতে থাকলে -এর প্রভাব আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেও পড়তে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে কথা বলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। অবশেষে এবিষয়ে শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর সেই নির্দেশ মত এদিন সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তৃণমূল-কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র। দল বিরোধী কাজের জন্য হরিরামপুরের তৃণমূল নেতা শুভাশিস পালকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। বিপ্লববাবু জানান, “যারা দল বিরোধী কাজ করছেন, যারা পঞ্চায়েত ভোটে অন্যদের সুবিধা করে দিতে চাইছেন; তাদের আর ক্ষমা করা নয়।”
প্রসঙ্গত, শুভাশিস পাল বিগত পঞ্চায়েত ভোটে হরিরামপুর আসন থেকে জেলা পরিষদের প্রার্থী ছিলেন। জয়ের পর তাকে পূর্তবিভাগের কর্মাধ্যক্ষ করা হয়। জেলা সভাপতির সঙ্গে মতবিরোধের কারণে ক্রমেই দল থেকে গুরুত্ব হারাতে শুরু করেন শুভাশিস পাল। এমনকি সেইসময়ই শুভাশিস পালকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে অভিষেক ব্যানার্জীর হাত ধরে ফের তিনি দলে ফেরেন। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল আর তাকে টিকিট দেয়নি। টিকিট না পেয়ে তিনি তার মা ও দাদাকে জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে ভোটে দাঁড় করান। এমনকি হরিরামপুরে কংগ্রেসের হয়ে প্রচারও চালান তিনি। এইসব প্রমাণ পাওয়ার পরেই দল বিরোধী কাজের জন্য এদিন শুভাশিস পালকে বহিষ্কার করা হয়।
এবিষয়ে তৃণমূল-কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র জানান, “শুভাশিস পাল নিজেকে তৃণমূলের কর্মী বলে দাবি করেও তার পরিবারের সদস্যদের কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছেন। নিজে কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করছেন। তার ভিডিয়ো আমাদের হাতে এসেছে। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানোর পর দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশে এদিন তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।” পাশাপাশি দল বিরোধী কাজ করলে কাউকে আর দলে রাখা হবে না বলেও সাফ হুঁশিয়ারি দেন জেলা সভাপতি।
অপরদিকে শুভাশিস পাল জানান, তিনি তৃণমূল করেন অভিষেক ব্যানার্জীর হাত ধরে। তাই তাকে কে, কোথা থেকে বহিষ্কার করল তা নিয়ে কোনও মাথাব্যাথা নেই তার। তিনি তৃণমূল দল করেন আর আগামীতেও তাই করবেন বলে জানান।