32 C
Kolkata
Saturday, April 20, 2024
spot_img

এবার জ্বালানী ও চালকবিহীন গাড়ী আবিষ্কার

বেঙ্গলটুডে প্রতিনিধি, ঢাকা:

কুয়াকাটায় এবার জ্বালানী ও চালকবিহীন পরিবেশ বান্ধব প্রাইভেটকার আবিষ্কার করেছেন ক্ষুদে বিজ্ঞানী মাহবুবুর রহমান শাওন। ২৯শে এপ্রিল সকালে কুয়াকাটা-কলাপাড়া মহাসড়কে গাড়িটি পরীক্ষামূলক চালানো হয়। এসময় হাজারো উৎসুক জনতা গাড়িটি দেখতে ভীড় জমান। উপজেলার মহিপুর ইউনিয়নের মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের মাদ্রাসা শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিনের পুত্র শাওন। বাংলাদেশ প্লানেটর কলেজের রোবোটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র সে। প্রায় ১মাস কঠোর পরিশ্রমের পর জ্বালানী সাশ্রয়ী সোলার সিস্টেম চালকবিহীন এই গাড়ীটি তৈরী করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। গাড়িটি তৈরীতে তিনি প্লাষ্টিক বোর্ড, লোহার এঙ্গেল, প্লাষ্টিকের গ্লাস, থাই গ্লাস, পুরোনো অটো রিক্সার চাকা, সোলার প্যানেল, ব্যাটারী ছাড়াও কিছু আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন।

ছোটবেলা থেকেই শাওনের নতুন কিছু আবিষ্কার ছিল তার লক্ষ। এর আগে শাওন সিকিউরিটি এ্যালারাম, মোবাইলের ব্যাটারীর মাধ্যমে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রীজ, সেন্সর লাইট, স্মার্ট সুইস, মোবাইল সুইস, ড্রন বিমান, মোবাইলের মাধ্যমে সুইস অন অফ আবিস্কার করেছিল। গত বছর সী-প্লেন তৈরী করে পরীক্ষামূলক নদীতে চালিয়ে ছিল। তবে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা পেলে শাওন তার আবিস্কৃত গাড়ি ও ইলেক্ট্রিকাল যন্ত্রপাতি বানিজ্যিক ভাবে বাজারজাত করে আধুনিক বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিতে পারবেন।

ক্ষুদে বিজ্ঞানী শাওন বলেন, ছোট বেলা থেকেই তার বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ ছিল। লেখাপড়ার পাশাপাশি সে খেলাধুলা হিসেবে বেছে নেয় ইলেক্ট্রিকাল যন্ত্রপাতি। সেই খেলাধুলা থেকেই সে আবিস্কারের প্রতি ঝুঁকে পরে। তবে তার বাবা মা সব সময় তাকে নানা ভাবে সহযোগিতা এবং উৎসাহ যোগাতো। শাওন সরকারের সহযোগিতা পেলে তিনি তার আবিস্কার আধুনিকভাবে বাজারে সরবারাহ করে দেশের মুখ উজ্জল করতে পারবেন বলে তিনি জানান।

মোয়াজ্জেমপুরের বাসিন্দা আলকাছ জানান, শাওন প্রায়ই নতুন কিছু আবিষ্কার করছে। এবার গাড়ি তৈরী করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। ওর এখন প্রয়োজন সরকারী সহযোগিতা। কুয়াকাটায় ঘুরতে আসা পর্যটক আরিফুর রহমান জানান, চালকবিহীন গাড়ি তা আবার মহাসড়কে আসলেই অবিশ্বাস্য। প্রত্যন্ত গ্রামে এরকম আবিষ্কার আসলেই অবিশ্বাস্য। শাওনের বাবা মাদ্রাসা শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, শাওন ছোট বেলা থেকেই লেখাপড়ার চেয়ে নানা যন্ত্রপাতি নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পছন্দ করতো। তার খেলাধুলার অংশই ছিল আবিস্কার। ছেলের এমন আগ্রহ দেখে তাকে বাধা না দিয়ে যখন যা চেয়েছে তাই কিনে দিয়েছি।

Related Articles

Stay Connected

17,141FansLike
3,912FollowersFollow
21,000SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles