ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গল টুডেঃ
কখনও কাজের চাপ আবার কখনও আবার নানা চিন্তা। অনেক কারণে ঘুমের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না। তাছাড়া মানুষের জীবনযাত্রা প্রতিদিন বদলাচ্ছে আর নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টেনশন। চিন্তা ঘুমের একটা বড় শত্রু। তাই বাড়ছে অনিদ্রা। কিন্তু এর ফলে আপনার যে বিপদ ঘনিয়ে আসছে তা কি জানেন?
১) দীর্ঘদিন ঘুম কম হওয়া ডেকে আনতে পারে সিরিয়াস মানসিক সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ব্রেন স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের মত সমস্যা। এমনকি নিদ্রাহীনতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের বিশৃঙ্খল জীবনযাপন থেকে সৃষ্টি হয়। যেমন, রাতে অনেকেই আছেন খাওয়াদাওয়ার পর TV দেখেন, ইন্টারনেট সার্ফ করেন, মোবাইল ঘাঁটেন আবার অনেকে মদ, সিগারেট খান। ফলে একটা নির্দিষ্ট সময়ে নিয়মিত ঘুমতে যান না। সুস্থতার জন্য সঠিক সময়ে ঘুমের অভ্যাস মেনটেন করা খুব দরকার।
২) এছাড়া ঘুম না হওয়ার কারণ হতে পারে ডিপ্রেশন। ডিপ্রেশন থাকলে অনেক সময় ঘুম আসে না। কিন্ত কোন সমস্যা ডিপ্রেশন থেকে হচ্ছে আর কোনটা নিদ্রাহীনতা থেকে হচ্ছে, তা জানার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার। কারণ যেকোনও ঘুমের সমস্যা থেকেই দুর্বলতা, ভুলে যাওয়া, ডায়াবেটিস এবং হার্টের সমস্যা হতে পারে।
৩) এমনকি অনিয়মিত ঘুমের কারণে হতে পারে নাক, কান বা গলার সমস্যা। আর নাক, কান ও গলার সমস্যার জন্য ঘুমের সমস্যায় অনেকে ভুগছেন। তবে এটাও ঠিক যে, শতকরা ৭০ জন মানুষের নাকের হাড় বাঁকা থাকে কিন্তু সব ক্ষেত্রে সার্জারি করতে হয় না। অনেকের নাকের ভিতরে এক ধরনের পলিপস থাকে সেটা ফুলে গেলেই রাতের দিকে অটোমেটিক নাক বন্ধ হয়ে যায় ফলে ঘুম ঠিকঠাক হয় না।
প্রসঙ্গগত নানা কারণে হতে পারে অনিদ্রা। আর ঘুম কম হলে তা থেকে হতে পারে বড় কোনও শারীরিক বা মানসিক সমস্যা। তবে প্রশ্ন সুস্থ থাকার জন্য কতটা ঘুম প্রয়োজন? সাধারণত দিনে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম খুবই স্বাস্থ্যকর। তবে অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত কাজের পর কেউ একটু ঘুমিয়ে নিল সেটা ভালো। তারপর পাওয়ার ন্যাপ (২০মিনিটের ঘুম), সেটাও বেশ ভালো। আমাদের বাড়ির মেয়েদের অনেক সময় একটানা ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমোনোর সুযোগ হয় না। সেক্ষেত্রে কেউ যদি রাতে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমোন আর দিনে ১-২ ঘণ্টা ঘুমোন সেটাও স্বাস্থ্যকর। কিন্ত ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমোনোর পরও যদি সারাদিন ঘুমঘুম ভাব থাকে, সেটা ইন্টারনাল সিরিয়াস কোনও সমস্যা থেকেও হতে পারে। এর জন্য ডাক্তার দেখানো দরকার।