ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গল টুডেঃ
প্রোটোকলের চাপাচাপি নেই। নেই রুদ্ধদ্বার বৈঠকের ভাবগম্ভীর পরিবেশ। ২৮শে এপ্রিল সকালে হাঁটতে দেখা গেল নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংকে। মুলত এবার চিনে বসে পাকিস্তানকে চাপে ফেলে দিল ভারত। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করাতে এবার একযোগে কাজ করবে ভারত-চিন। ২ দিনের চিন সফরের শেষ দিনে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে।
চিনের সংবাদ মাধ্যমের কথায়, "এ ধরনের বৈঠকে কোনও চাপ থাকে না। প্রত্যাশা থাকে না। ফলে অ্যাজেন্ডার বাইরে আলোচনায় গিয়েও বাড়তি ফল পাওয়া যায়।" যেমন এদিনের বৈঠকে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে যৌথ আর্থিক প্রকল্প গড়তে রাজি হয়েছেন মোদী এবং চিনফিং।
জানা যায়, কোনও রকমের সমঝোতা কিংবা ঘোষণা না হলেও শি জিনপিং-এর সঙ্গে কৌশলগত সামরিক সম্পর্ক, পর্যটন কিংবা বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, "বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই চিন এবং ভারতের। তাই বিশ্বের প্রধান সমস্যাগুলো মেটাতে হলে দুই দেশকে উদ্যোগী হতে হবে।" চিনফিং বলেন, "বিশ্বের শান্তি ও সুস্থিতির স্বার্থেই ভারত ও চিনের সম্পর্কে উন্নতি হওয়া দরকার।"
উল্লেখ্য, গত প্রায় একযুগ ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান। সেদেশে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে পাকিস্তানের হাত ধরেছিল চিন। তবে কূটনৈতিক মহলের ধারনা, এবার আফগানিস্তান ইস্যুতে চিন ও পাকিস্তানের মাঝে ঢুকে একটি মোক্ষম চাল চাললেন নরেন্দ্র মোদী। এদিন, চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে মোদী বলেন, ভারত ও চিন আফগানিস্তানকে অর্থনৈতিক ভাবে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করতে পারে। এমনকি চিনা প্রেসিডেন্ট প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন বলে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
অপরদিকে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের কার্যকলাপ নিয়ে প্রথম থেকেই কথা তুলেছে আফগান প্রশাসন। সেই সঙ্গে সেখানে চিনের প্রভাব বিস্তার নিয়েও সরব হয়েছিল কাবুল। এক্ষেত্রে কূটনৈতিক মহলের ধারনা, প্রভাব থাকলেও, এবার ভারতকে সঙ্গী করে উন্নয়নের কাজ করবে চিন।