সন্দীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রাম:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
দুদিন ধরে বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের রান্না বন্ধ থাকায় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়ল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, প্রায় দিনেই বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের রান্না বন্ধ থাকে। যার ফলে ছাত্রছাত্রীরা না খেয়ে বাড়ি ফিরে আসে। যদিও এবিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য রোজদিনেই বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল রান্না করা হয়। ইউনিট টেস্ট পরীক্ষা শুরু হওয়ার জন্য পড়ুয়ারা সঠিক সময়ে মিড ডে মিলের রান্না খেতে আসতে পারেনা। তাই খাদ্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই তারা পরীক্ষার সময় মিড ডে মিল রান্না বন্ধ রেখেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম থানার বড়নেগুই অঞ্চলের মরচি গোলাপনাথ এসসি হাই স্কুলে।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি, এই বিদ্যালয়ে প্রায়ই দিন মিড ডে মিলের রান্না বন্ধ থাকে। যখনই বিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরু তখনই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ে রান্না বন্ধ রাখে। ফলে গরীব বাড়ির পড়ুয়ারা না খেয়েই বাড়ি ফিরে আসতে বাধ্য হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে উদাসীন। স্থানীয় বাসিন্দা চিত্ত মাহাতো বলেন, “বিদ্যালয়ে প্রায় দিনেই মিড ডে মিলের রান্না বন্ধ থাকে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেন এরকম করে থাকে তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। আমরা গ্রামবাসীরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলেও কোনও কর্ণপাত করেননি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার দিন গুলিতে রান্না বন্ধ রাখা হয়। গত দু দিন ধরে বিদ্যালয়ে রান্না হচ্ছে না”।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, উচ্চমাধ্যমিক এই স্কুলটিতে পঞ্চম শ্রেনী থেকে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত প্রায় তিনশো সত্তোর জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এদের মধ্যে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত একশো চুরাশি জন পড়ুয়া মিডডে মিল খায়। ২৫শে এপ্রিল থেকে বিদ্যলয়ে পঞ্চম শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনীর প্রথম ইউনিট টেস্ট শুরু হয়েছে। ২৪ এবং ২৫শে এপ্রিল বিদ্যালয়ে রান্না হয়নি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি বিভিন্ন ক্লাসের বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষার রুটিন রয়েছে। তাই মিড ডে মিল রান্না হলেও পড়ুয়ারা খেতে যায়না। তাদের ডেকেও পাওয়া যায়না। এর আগেও এইভাবে পরীক্ষার সময়ে খাবার নষ্ট হয়েছে। তাই এবার পরীক্ষা দিন গুলিতে রান্না বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রীকান্ত রক্ষিত বলেন, “২৫শে এপ্রিল থেকে বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনীর পর্যন্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সব ক্লাসের পরীক্ষার এক সময়ে নয়। আলাদা সময়ে পরীক্ষা হচ্ছে। তাই মিড ডে মিলের রান্না হলেও ছাত্রছাত্রীরা খেতে যেতে পারছে না। তাদের ডেকেও পাওয়া যায় না। তাই এই কদিন রান্না বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্ত সারা বছর অত্যন্ত ভালোভাবে বিদ্যালয়ে মিডডেমিল রান্না হয় এবং পড়ুয়ারা তা খেয়ে বাড়ী যায়।”
এবিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি হেমেন্দ্র মোহন সিংহ বলেন, “রোজদিনেই বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের রান্না হয়। কোন সমস্যা নেই। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত রান্না হয়েছে। দু দিন বন্ধ আছে এমন খবর আমার কাছে নেই। কেন বন্ধ রাখা হয়েছে তা খোঁজ নেব”।