মিজান রহমান, ঢাকা:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
বিদ্যুৎ ও শিল্পে গ্যাসের দাম ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে, তবে তা হবে সহনীয় মাত্রায়। বস্ত্রকল মালিকদের সংঘটন বিটিএমএর সাথে মত বিনিময় সভায় জানায়, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহি চৌধুরী। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি এমনেতেই ব্যবসা পরিচালনায় খরচ বেশি, এমন অবস্থায় গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে ক্ষতির মুখে পরবে এই খাত। গ্যাস দিয়ে নিজস্ব জেনারেটরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়া হল ক্যাপটিব জেনারেশন, যা দেশের বস্ত্র খাতে ব্যবহৃত হয় সবচেয়ে বেশি। কেনো না এই প্রক্রিয়া বিদ্যুৎ পাওয়া যায় নিরবিচ্ছিন্ন উপায়ে। এসব অনুযায়ী দেশের মোট গ্যাসের প্রায় ১৬ শতাংশ, এজন্য ব্যবহার করেন ব্যবসায়ীরা। যা ক্রয় করতে প্রতি ঘনমিটারের বিপরীতে তাদেরকে খরচ করতে হয় ৯ টাকা ৬২ পয়সা। কিন্তু সম্প্রতি এলএনজি আমদানি করার কারণে এই গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। যা নিয়ে সংকিত বস্ত্রকল মালিকদের সংঘটন বিটিএমএ। এ নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীরা বলেন, গেলো কয়েক বছরে এই খাতে খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই আবারো বড় আকারে দাম বাড়ালে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে হবে অনেককেই।
বিটিএমএ সভাপতি তপন চৌধুরী বলেন, আমাদের জানামতে অনেক উদ্যোক্তাতা শুধুমাত্র গ্যাস ও বিদ্যুতের নিশ্চয়তা না পাওয়ার কারণে শিল্পে বিনিয়োগ করতে নিরোৎসাহিত হচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা বলেন বস্ত্রকালে সুতা উৎপাদনের জন্য মোট খরচের ৬-৭ শতাংশই যায় জ্বালানির পেছনে। যা বর্তমানে প্রতি কেজিতে দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া নিড়বিছিন্ন সরবরাহ এবং প্রত্যাশিত চাপ না পাওয়ায় উৎপাদন সম্ভব হয় না সক্ষমতা অনুযায়ী। ফলে বাড়ে উৎপাদন খরচ, যা পিছিয়ে দেয় আর্ন্তজাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা থেকে। এমন বাস্তবতায় তারা দাবি জানান প্রকৃত বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। এই সময় সরকারের দুই প্রতিনিধি বলেন ব্যবসা বাণিজ্য যাতে হুমকিতে না পরে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, এখন পরিস্থিতি যেমন হয়েছে, আমরা পরস্পরের উপর নির্ভর হয়ে গেছি। আমাদেরও যেমন বিক্রি করতে হবে তেমন আপনাদের ও কিনতে হবে। আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করলাম গ্যাসের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
পেট্রবাংলা চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ বলেন, পেট্রবাংলাও মনে করে না একটা লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করছে। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই আমরা যেই দামে কিনবো সেই দামেই বিক্রি করবো। আমরা কোনোভাবেই গ্যাস বিক্রির লাভের আশা করছি না। এই সংযোগের ক্ষেত্রে তিতাসের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন উপদেষ্টা।