সন্দীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রাম:
মেধা অন্বেষণ পরীক্ষায় ঝাড়গ্রাম জেলার প্রথম হয়েছে সৌরীশ দে। সৌরীশ ঝাড়গ্রাম শহরের কুমুদ কুমারী ইন্সটিটিউশনের ছাত্র। এবারে দুঃস্থ মেধাবীদের নিয়ে সর্বভারতীয় এই পরীক্ষায় সৌরীশের প্রাপ্ত নম্বর ১৪৫।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, যে সমস্ত দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রছত্রীদের পরিবারিক আয় এক লক্ষ কুড়ি হাজারের বেশী নয় শুধু মাত্র তারাই সর্বভারতীয় মেধা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। “ন্যাশান্যাল মিনিস কাম মেরিট স্কলারশিপ এক্সামিনেশন ২০১৭” এই পরীক্ষায় ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন স্কুলের অষ্টম শ্রেনীর পড়ুয়া মোট একশো আশি নম্বরের পরীক্ষায় বসেছিল। ঝাড়গ্রামের কুমুদ কুমারী ইন্সটিটিউশ থেকে মোট দশ জন অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র গত বছর নভেম্বর মাসে পরীক্ষায় বসেছিল। তাদের মধ্য থেকে সৌরীশ দে মোট ১৪৫ নম্বর পেয়ে ঝাড়গ্রাম জেলায় সাম্ভাব্য প্রথম হয়।
এছাড়া আরও জানা যায়, যারা এই মেধা পরীক্ষায় স্থান করে নেবে তারা কেন্দ্র সরকার থেকে লেখা পড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য বার্ষিক আর্থিক সহায্য পাবে। ঝাড়গ্রাম শহরের সত্যবান পল্লির বাসিন্দা সৌরীশের বাবা শোভনলাল ছোটখাটো মনিহারি দোকান চালান।
সৌরীশের মা মনিকা দে বলেন, “শুভজিৎ বাবু আমার ছেলেকে খুব সাহায্য করেছিলেন। তাই ও এত ভালো ফল করতে পেরেছে। স্যার না থাকলে হয়তো এত ভালো ফল করা সম্ভব হত না। কুমুদ কুমারী ইন্সটিটিউশনের সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষক শুভজিৎ জানা বিদ্যালয়ে ক্লাসের পরেও নিজে উদ্যোগ নিয়ে পড়ুয়াদের তৈরি করছেন। কোন অর্থ ছাড়াই তিনি সম্পুর্ন বিনা টাকা পয়সায় শুভজিৎ বাবু তার স্কুলের ছাত্রদের এই মেধা পরীক্ষার জন্য তৈরি করে গিয়েছিলেন। পড়ানোর পাশাপাশি তিনি প্রয়োজনীয় বই দিয়েও সাহায্য করেছিলেন অভাবী ঘরের মেধাবী পড়ুয়াদের। সৌরীশের এই সাফল্যে ভীষনই খুশি এবং আনন্দিত শুভজিৎবাবু। তিনি বলেন আমি ওদের কাছে চেয়েছিলাম একটাই জিনিস। তা হল নিষ্ঠার সাথে পড়াশুনা করে সবার মধ্যে স্থান করে নেওয়া। সৌরীশের এই সাফল্যে আমি গর্বিত। ঝাড়গ্রাম জেলায় ও প্রথম হয়েছে। আমাদের সবার গর্ব ও”।
সৌরীশ এবং তার পরিবার এই সাফল্যের জন্য পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন শিক্ষক শুভজিৎ জানা কে। সৌরীশ আনন্দের সহিত বলে, বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চেষ্টায় আমার সাফল্য।