শান্তনু বিশ্বাস, হাড়োয়াঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
২০শে এপ্রিল সকালে হাড়োয়ার গোপালপুর এক নম্বর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তার ধারে একটি ফুল গাছের নিচে প্লাস্টিক প্যাকেটে ভরা একটি বোম বল ভেবে কুড়িয়ে আনেন স্থানীয় শম্ভু হালদারের মেয়ে পৌলমী। এরপর তার হাতেই সেটি ফেটে তার ডান হাতের কবজি থেকে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ও চোখে গুরুতর আঘাত পায় শিশুটি। এমনকি সেই সময় বোমের ফুলকিতে জখম হন শিশুটির দাদুও। বর্তমানে শিশুটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সুত্রের খবর, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও হাড়োয়ার গোপালপুর এক নম্বর গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দা শম্ভু হালদারের মেয়ে পৌলমী বাড়ির সামনে রাস্তার ধারে একটি ফুল গাছের নিচে প্লাস্টিক প্যাকেটে ভরা একটি বোম পড়ে থাকতে দেখে বল ভেবে সেটি কুড়িয়ে নিয়ে বাড়িতে ফিরে আসে পৌলমী। বাড়িতে ঢুকতেই সেটি দেখে চিনতে পেরে ফেলে দিতে বলেন দাদু হরেকৃষ্ণ হালদার। তখনই ফেঁটে যায় বোমাটি। বোমা ফেঁটে ডান হাতের কবজি থেকে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় ও চোখে গুরুতর আঘাত পায় শিশুটি। বোমের ফুলকিতে জখম হন শিশুটির দাদুও। এরপর সাথে সাথে শিশুটিকে হাড়োয়া প্রাথমিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় রেফার করেন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গগত, শিশুটির প্রতিবেশী গোপালপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৪১ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী কালীপ্রসাদ দাস। আর তার বাড়ির কাছে রাস্তার ধারে ফুল গাছের নিচে পড়েছিল বোমাটি। আর সেকারনেই বোমা ফাঁটার ঘটনায় চাপাউনতর সৃষ্টি হয়েছে বিজেপি ও তৃণমুল কংগ্রেসের মধ্যে। তবে আক্রান্ত শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না তোলায় পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।