শান্তনু বিশ্বাস, হাবড়া:
উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থানার অন্তর্গত কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সোনাকানিয়া আদিবাসী পাড়ায় মৃত এক যুবক। মৃতের নাম সুমন মন্ডল (২৮)। বাড়ি বর্ধমান জেলায়।
স্থানীয় সুত্রে খবর, বছর সাতেক আগে বর্ধমান জেলার বাসিন্দা বছর ২৮-এর সুমন মন্ডলের সাথে বিয়ে হয় হাবড়ার সোনাকানিয়া আদিবাসি পাড়া এলাকার বাসিন্দা রেখা মুন্ডার (২৫)। সুমন ও রেখা কর্ম সূএে হায়দ্রাবাদে থাকতো। কিন্তু গত সপ্তাহে রেখা তার বাপের বাড়ি হাবড়া চলে আসেন। এরপর পয়লা বৈশাখের দিন রাতে মদ্যপ অবস্থায় হাবড়ায় শ্বশুরবাড়িতে আসে সুমন এবং স্ত্রী রেখার সঙ্গে গোন্ডগোল ও পরে মারপিট বাধে। ঘটনার দিন রাতেই সুমনকে শ্বশুড় বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান তার স্ত্রী রেখা ও তার মা সারথী মন্ডল। স্থানীয় বাসিন্দারা দড়িঁ কেটে মৃত সুমনকে নামান এবং সাথে সাথে স্থানীয় ডাক্তারকে বাড়িতে ডেকে এনে দেখালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
অভিযোগ, এরপর ১৬ই এপ্রিল সকালে সুমনের দেহ সৎকারের জন্য ব্যবস্থা করলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মারফত হাবড়া থানায় পুলিশ এসে মৃত দেহ উদ্ধার করেন এবং ময়না তদন্তের জন্য বারাসাত হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর পাশাপাশি মৃতের স্ত্রী রেখা ও তার শাশুড়ি সারথী মুন্ডাকে গ্রেফতার করেন পুলিশ। তবে এখন প্রশ্ন ভিনরাজ্যে কোনও গন্ডগোল করেই কি রেখা ফিরে এসেছিল হাবড়ায় ? যা নিয়েই কি বচসা ও মারধর ? নাকি অন্য কোন ঘটনা। বর্তমানে গোটা ঘটনার তদন্তে হাবড়া থানায় পুলিশ।