ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গল টুডেঃ
১৫ই এপ্রিল সকালে পুরাতন মালদার রাঙামাটিয়া গ্রামে রেললাইন থেকে উদ্ধার এক মহিলার দ্বিখণ্ডিত দেহ। মৃতের নাম পদ্মাবতী মণ্ডল(৪২)। মহিলার মেয়ের অভিযোগ, বাবাই তাঁর মাকে খুন করেছে। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল মহিলার স্বামী। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
সুত্রের খবর, মৃতের স্বামী সুশীল মণ্ডল নৈশপ্রহরীর কাজ করেন এবং পদ্মাবতী স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন। ঘটনার দিন সকালে বাড়ির পিছনে লাইনে পদ্মাবতীর খণ্ডিত দেহ দেখতে পান এলাকার বাসিন্দারা। এমনকি স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পান মৃতের বাড়িতে ঘরের মধ্যে ও উঠোনে চাপ চাপ রক্ত। প্রতিবেশীদের সন্দেহ পদ্মাবতী রেলে কাটা পড়ে মারা যাননি। তাঁকে বাড়িতে খুন করে দেহ লাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো ছিল না। প্রায়ই তাঁরা ঝগড়া করতেন। স্ত্রীকে মারধরও করত সুশীল। এক্ষেত্রে পদ্মাবতীর মেয়ে দুর্গা মণ্ডল বলেন, “কারণে অকারণে মাকে মারধর করত বাবা। বাবাই মাকে খুন করেছে।”
পুলিশে তদন্তে খবর, এদিন এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর তদন্তে যান মালদা থানার OCমানবেন্দ্রনাথ সাহা। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ মৃতের বাড়ি থেকে কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করেন। তবে বাড়ি থেকে কোনও অস্ত্র পাওয়া যায়নি বলেই জানান।
যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল সুশীল। তবে পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদে সুশীল তার স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে বলেও জানান।