32 C
Kolkata
Friday, April 19, 2024
spot_img

ঝাড়গ্রামের বালাজি পেপার মিলে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের কর্ম বিরতি

সন্দীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রাম:

১৪ই এপ্রিল ঝাড়গ্রাম জেলার মাণিকপাড়া এলাকার বালাজি পেপার মিলে সকাল ৮ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত বকেয়া বেতন না পেয়ে কারখানার কাজ বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করলেন শ্রমিকেরা। প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা কর্মবিরতি চলার পর কারখানা কতৃপক্ষ থেকে টাকা পাওয়ার আশ্বাস পেয়ে কর্মবিরতি তুলে নেন শ্রমিকেরা।

শ্রমিকদের দাবি, পয়লা বৈশাখের আগে পেপার মিলের শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হোক। এই দাবি নিয়ে কর্ম বিরতী শুরু করেন শ্রমিকেরা। অভিযোগ, মিল কতৃপক্ষের নিয়ম অনুযায়ি প্রতিমাসের ১২ তারিখের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেননি। প্রতিমাসেই ১৫ থেকে ২০ তারিখ পেরিয়ে যায় তবেই শ্রমিকেরা বেতন পান। চলতি মাসেও একইভাবে শ্রমিকেরা ১৪ তারিখ পেরিয়ে গেলেও বেতন পাননি। তারা প্রথম থেকে দাবি করে আসছিলেন পয়লা বৈশাখের আগে তাদের বেতন দেওয়া হোক। কারন পয়লা বৈশাখে হালখাতা থেকে শুরু করে নতুন জামা কাপড় কেনার মতো বিষয় গুলি থাকে। শ্রমিকরা তাদের সামান্য বেতন থেকেই সব কিছু সামলান। কিন্তু পয়লা বৈশাখে খালি হাতে সন্তানদের সামনে দাঁড়ানো তা মানতে পারছিলেন না তারা। আর তাই দাবি আদায়ে এদিন ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়ার বালাজি পেপার মিলের শ্রমিকেরা তাদের বেতন এই দিনই পাওয়ার দাবি জানিয়ে কর্ম বিরতী শুরু করেন। প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা কর্ম বিকতীর পরে কারখানা কতৃপক্ষ আশ্বাস দেয় এদিন বিকেলেই শ্রমিকরা তাদের বেতন পাবেন। তারপরই শ্রমিকেরা কর্মবিরতী তুলে নিয়ে কাজে যোদ দেন।

উল্লখ্য এই কারখানায় কর্মতর রয়েছেন প্রায় পাঁচশো জন শমিক। এর মধ্যে স্থায়ী শ্রমিক আছেন প্রায় দুশো জন। বাকিরা চুক্তি ভিত্তিতে ঠিকাদার সংস্থার মাধ্যমে নিযুক্ত। শ্রমিকদের আরো অভিযোগ, গত ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও নতুন করে চুক্তি করা হয়নি এবং শ্রমিকদের বেতনও বৃদ্ধি করা হয়নি। কারখানার শ্রমিক আইএনটিটিইউসির কোষাধ্যক্ষ রাজেশ নায়েক বলেন," ১২ তারিখের মধ্যে বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও কারখানা কতৃপক্ষ তা কখোনই দেয় না। পয়লা বৈশাখে শ্রমিকেরা বেতন না পেলে খুবই সমস্যায় পড়তেন। তাই শ্রমিকেরা এদিন সকাল ৮ টা থেকে সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত কর্ম বিরতী করেছিলেন।

Related Articles

Stay Connected

17,141FansLike
3,912FollowersFollow
21,000SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles