মিজান রহমান, ঢাকাঃ
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আন্দোলন স্থগিত করেছে শিক্ষার্থীরা। কোটা বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসান আল মামুন জানান, ১২ই এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে তাদের বক্তব্য পেশ করবেন।
এদিকে ১১ই এপ্রিল বিকেলে জাতীয় সংসদে কোটা নিয়ে ঢাকার সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ছাত্ররা যেহেতু আর কোটা ব্যবস্থা চায় না, সেহেতু এখন থেকে বাংলাদেশে আর কোটা ব্যবস্থা থাকবে না। তিনি বলেন, এখন থেকে মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ সময় কোটা সংস্কারে আন্দোলনের সময় মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের (ভিসি) বাসভবনে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এ হামলা করেছে, তারা ছাত্র বলে বিশ্বাস করি না।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান জানান, তারা কোটা তুলে দেওয়া হোক চাননি, সংস্কার চেয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি ঘোষণা চেয়েছেন তিনি। রাশেদ খান বলেন, ‘কোটা থাকবে না, তা আমরা চাই না। আমরা সংস্কার চাই। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। কোটার দরকার আছে। সবার কথা বিবেচনা করে সেটার একটি সহনীয় পর্যায়ে সংস্কার চাই।’ তিনি আরও বলেন, কোটার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি বক্তব্য চান। এর আগে বুধবার সকালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন তাঁদের ফেসবুকে পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের বলেছেন, এখন থেকে সরকারি চাকরিতে কোনো কোটা থাকবে না। পরে বুধবার বেলা দেড়টার দিকে মধুর ক্যানটিনে সংবাদ সম্মেলন করে একই কথা জানান এই দুই ছাত্রনেতা।