ওয়েবডেস্ক, মায়ানমার, বেঙ্গলটুডেঃ
ব্রিকস সম্মেলন সেরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী চিন থেকে সরাসরি পাড়ি দিল মায়ানমারে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোড়ালো করার উদ্দেশ্যে মায়ানমার ও ভারতের মধ্যে আলোচনা হয়। এমনকি রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও নমোর আলোচনা হয় সেদেশের জননেত্রী অর্থাৎ সরকারি উপদেষ্টা আউং সান সু চির সঙ্গে। পাশাপাশি দুদেশের সন্ত্রাসবাদ দমন ও নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়।
প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী সীমান্ত টপকে, বাংলাদেশ পেড়িয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করছে ভারতে। তাই এই রোহিঙ্গাদের ফের মায়ানমারে ফেরত পাঠাবে ভারত। কারন প্রতিটি রাজ্যে কতটা শরণার্থী রয়েছে তা খতিয়ে দেখে, ওই চিহ্নিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মায়ানমারে পাঠানো হবে, এমনটাই সংসদে জানায় কেন্দ্রিয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু।
এদিকে মায়ানমারও এই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে নারাজ। এমনকি বাংলাদেশ হয়ে ভারতে আসা এই শরণার্থীদের ঢাকাও রাখতে রাজী নয়। তাই এই পরিস্থিতিতে সু চি-র সঙ্গে মোদীর আলোচনাই এবিষয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। অপরদিকে ভারতের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। এমনকি রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও শরণার্থীদের ভারত সমুদ্রে মাঝে গিয়ে ফেলেও দিচ্ছে না আর সীমান্তে নিয়ে গিয়ে গুলিও চালাচ্ছে না। শুধুমাত্র শরণার্থীদের দেশে পাঠাচ্ছে”।