নিজস্ব প্রতিনিধি, শাসনঃ
১১ই এপ্রিল বিকেল ৫টা নাগাদ উওর ২৪ পরগনার শাসন থানার অন্তর্গত ফলতি বেলিয়াঘাটা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় দুষ্কৃতী হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন শাসন এলাকার এক তৃনমুল নেতা। মৃতের নাম সফিয়ার রহমান(৫০)। তিনি সফিয়ার ফলতি বেলিয়াঘাটা এলাকার তৃনমুলের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন বলে জানা যায়। যদিও এই ঘটনায় আক্রমণকারী রজব আলিকে ধরে ফেলেন বিজয় মিছিলে থাকা তৃনমুল কর্মীরাই।
সুত্রের খবর, এদিন উওর ২৪ পরগনার শাসন এলাকায় ভোটের দিন ঘোষনা পর নমিনেশন পর্ব শেষ হতে শাষক দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী তৃনমুলের বিজয় মিছিল বার হয়। এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ সেই মিছিল ফলতি বেলিয়াঘাটা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ সেই সময় দুষ্কৃতী হামলায় খুন হন শাসন এলাকার এক তৃনমুল নেতা। মূলত ধারালো অস্ত্রের আঘাতেই তার মৃত্যু হয়। এরপর রক্তাক্ত ঐ তৃনমুল নেতাকে বারাসাত মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। যদিও ঘটনার সময় আক্রমণকারী রজব আলিকে ধরে ফেলেন বিজয় মিছিলে থাকা তৃনমুল কর্মীরা এবং তাকে গণধোলাইও দেওয়া হয় বলে জানা যায়। এর দরুন গুরুতর জখম হন আক্রমণকারী।
পুলিশ সুত্রে খবর, ঘটনার খবর পাওয়ার পর সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন শাসন থানার পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থলে থেকে রজব আলিকে উদ্ধার করেন কিন্তু ঘটনার দিন রাতেই মৃত্যু হয় আক্রমণকারী রজব আলির। এছাড়া জানা যায়, মৃত তৃনমুল নেতার নাম সফিয়ার রহমান(৫০)। তিনি সফিয়ার ফলতি বেলিয়াঘাটা এলাকার তৃনমুলের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন।
এক্ষেত্রে অনুমান, বিজয় মিছিলে তৃনমুল নেতাকে খুন করার পিছনে ফলতি বেলিয়াঘাটা এলাকায় শাসক দলের গোস্টি দ্বন্ধের ফলেই ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও তৃনমুলের পক্ষ থেকে গোষ্ঠী দ্বন্ধ অস্বিকার করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ রজব আলি সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতী।
উল্লেখ্য বর্তমানে ঘটনার জেরে এলাকায় উওেজনা ছড়ালে অস্থায়ী পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শাসন থানার পুলিশ।