সন্দীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রামঃ
ফের বাঘের পায়ের ছাপ ঘিরে আতঙ্ক ছড়াল লালগড়ে। ১০ই এপ্রিল রাতের পর ১১ই এপ্রিল সকালে লালগড়ের রাঙামেটিয়া গ্রামের রাস্তায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখেছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
উল্লেখ্য গত দুমাস ধরে বাঘের আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না লালগড়ের বাসিন্দাদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নতুন করে বাঘের পায়ের ছাপ মেলায় আরও বেশি করে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। তবে বেশ কিছু দিন জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছিল বাঘ মামা। এদিন লালগড়ের রাঙামেটিয়া গ্রামের মোরাম রাস্তার উপরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পায় এলাকার বাসিন্দারা।
এমনকি রাঙামেটিয়ার জঙ্গল রাস্তায় বাঘ মামাকে পারাপার করতে দেখেছেন বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দারের। সকালে রাঙামেটিয়ার গ্রামের জঙ্গল রাস্তায় ফের বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যাওয়ার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা পায়ের ছাপ দেখার পর থকেই খবর দিয়েছে বনদফতরকে। বনদফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকা থেকে পায়ের ছাপ সংগ্রহ করেছে নিয়ে গিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে লালগড়ের রাঙামেটিয়া সহ আশেপাশের বিভিন্ন জঙ্গলে বাঘের অস্তিত্ব টের পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ১০ই এপ্রিল রাঙামেটিয়া গ্রামের মোরাম রাস্তা পারপার করতে দেখা গিয়েছিল বাঘটিকে বলে দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন পায়ের ছাপ মেলায় আতঙ্ক আবারও বাড়ছে। জঙ্গলে গরু, ছাগল চড়াতে নিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয়রা। বাড়ির উঠানেই বাধা রয়েছে গবাদি পশু গুলি।
অন্য দিকে দুমাস পেরিয়ে গেলেও বাঘটিকে ধরতে না পারায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এদিকে বাঘ ধরতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও বারেবারে ব্যর্থ হচ্ছে বনদফতর। বাঘটিকে খাঁচা বন্দী করতে চারটি খাঁচা পাতা রয়েছে লালগড়ের বিভিন্ন জঙ্গলে। ড্রোন ক্যামেরাতে জঙ্গল তল্লাশি চালিয়েও বাঘ না মেলায় অনেকটাই হাতাশা তৈরি হয়েছে স্থানীয় মহলে। তারা আতঙ্কে রয়েছেন বাঘ মামা বুঝি এবার গ্রামে ঢুকে না ছোট বাচ্চাদের আক্রমন করে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের বক্তব্য লালগড়ের বিভিন্ন জঙ্গলে ক্যানেলের নিচে বাঘ আশ্রয় নিচ্ছে। তাই সচরাচর তাকে দেখা যাচ্ছেনা। এবিষয়ে মেদিনীপুর রেঞ্জের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহাকে বারে বারে ফোন করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি বলেও জানা যায়।