ওয়েবডেস্ক, বেঙ্গলটুডেঃ
সেই ২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে “রাজ্যে বদল হোক”, সেই দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়-সহ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে অনেকেই। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুহূর্তে আবার সেই বুদ্ধিজীবীদেরই একাংশ আবার সরব হলেন। এদিন শিল্পী সাংস্কৃতি কর্মী বুদ্ধিজীবী মঞ্চের তরফে এদিন যাঁরা সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির ছিলেন তাঁদের অনেককেই ২০১১-র আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিভিন্ন মঞ্চে দেখা গিয়েছিল। এমন কী ক্ষমতায় আসার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের অনেককেই দেখা গিয়েছিল। ১১ই এপ্রিল, এই সাংবাদিক সম্মেলনে “শিল্পী সাংস্কৃতি কর্মী বুদ্ধিজীবী মঞ্চ” এর তরফে এদিন হাজির ছিলেন শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, বিভাস চক্রবর্তী, বিমল চট্টোপাধ্যায়, মানব অধিকার কর্মী সুজাত ভদ্র, গায়ক পল্লব কীর্তনিয়া সহ আরও বেশ কিছু বুদ্ধিজীবী ।
“আধিপত্যের সঙ্গে লড়াইয়ে তোমার সঙ্গে দেখা” কবিতার অংশ আবৃতি করে শোনান প্রতুল মুখোপাধ্যায়। “আধিপত্য শাসককে গ্রাস করে” বলে নাম না করে কটাক্ষ করেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। আবার পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “আধিপত্যবাদ কায়েম করে বেশি দিন শাসন করা যায় না।” প্রতুল বাবু আরও জানান, “পূর্বতন বাম সরকারের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তাঁরাই একসময়ে পথে নেমেছিলেন।”
কিন্তু এখন প্রশ্ন, কেন তারা আবার পথে নামার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন?
এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য নাট্য ব্যাক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী দিয়ে দিলেন। বিভাস বাবুর মতে, “মনোনয়নেই এত হিংসা হলে ভোটে কী হবে?” পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নে হিংসা নিয়ে এমনই প্রশ্ন করলেন নাট্য ব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী। রাজ্যে রাজনৈতিক হানাহানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ২০০৩-এর পঞ্চায়েত আইনের যে ফাঁক রয়েছে, তা দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন নাট্যকর্মী বিভাস চক্রবর্তী। একইসঙ্গে নির্বাচনের পর এক দলে নির্বাচিত হয়ে অন্য দলে যাওয়ার যে প্রক্রিয়া চলে, তারও সমালোচনা করা হয়েছে বুধবারের সভা থেকে। এইদিন রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “রাজ্যকে বিরোধী শূন্য করার প্রচেষ্টা চলছে।” এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। বিধায়কদের দল বদলের যে প্রক্রিয়া পশ্চিমবঙ্গে চলেছে তাঁকে প্রতারণা বলে অবিহিত করেন বিভাস চক্রবর্তী, বিমল চট্টোপাধ্যায়রা। এদিন নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুর আন্দোলনে কথা স্মরণ করিয়ে দেন নাট্যকর্মী বিভাস চক্রবর্তী। প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চট্টোপাধ্যায় পঞ্চায়েত আইনের ৪১, ৪২, ৪৩ নম্বর ধারার পরিবর্তনের দাবি তোলেন।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখার প্রক্রিয়া চলছে বলে, অভিযোগ করেছেন সমাজকর্মী মীরাতুন নাহার। মনোনয়ন জমা দেওয়ার স্থানের পাশে পিকনিক করার কড়া সমালোচনা করেন সমাজকর্মী সুজাত ভদ্র।