সন্দীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রামঃ
শাসকদলে থেকে আখের গোছাতে ব্যস্ত জাম্বনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সমীর ধল। জাম্বনীর পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত একাধিক আসনে মা, ভাই, বোন এবং স্ত্রী প্রত্যেকেই গ্রামঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির আসনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করিয়েছেন সমীর ধল। সমীর ধলের এই পারিবারিক মনোনয়ন পত্র দাখিলের পরেই জঙ্গলমহলের তৃণমূলের অন্দরে ক্ষোভ বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে। তৃণমূলের মাদার এবং যুব গোষ্ঠীর রাজনৈতিক কাজিয়া নামলেও সেভাবে কোনও রাজনৈতিক কারনে কোনও পালা পরিবর্তন ঘটেনি। কিন্তু সমীর ধলের পারিবারিক মা, ভাই, বোন এবং স্ত্রী প্রার্থী হওয়ায় জাম্বনীর রাজনৈতিক সমীকরনে বড়সড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এক সময়ের জাম্বনী কি "চম্বল" সেই ইতিহাস মুছে ফেলার প্রাক মুহুর্তে পারিবারিক রাজনৈতিক মাথা চাড়া দিয়ে উঠায় জাম্বনীর আকাশে রাজনীতির কালো মেঘের অশনী সংকেত দেখছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে আমজনতা।
জাম্বনীর গদরাশোল বুথে প্রার্থী হয়েছে সমীর ধলের ভাই গনপতি ধল। চিল্কীগড় বুথে প্রার্থী হয়েছেন সমীর ধলের মা পারুল ধল। কুলডিহা বুথে প্রার্থী হয়েছেন সমীর ধলের বোন উমা ধল শীট। এবং জাম্বনীর ১৩ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনে প্রার্থী হয়েছে সমীর ধলের স্ত্রী ডলি শীট ধল। এই সমীর ধলের পারিবারিক রজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে রাজ্য তৃণমূলের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সুমিত্রা মুরমু। পর্যবেক্ষকের মতে এই মুহুর্তে পঞ্চায়েত নির্বচনের প্রাক কালে সমীর ধলের ডানা ছাটা না হলে জাম্বনীতে তৃণমূলের ধস নেমে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল। তৃণমূলের নেতা কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজন কেউ এই সমীর ধলের পারিবারিক রাজতন্ত্রকে মেনে নিতে চাইছেন না।
এবিষয়ে ঝাড়গ্রামের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, জাম্বনীতে একটি বৈঠক চলছে। বৈঠক শেষ হোক তারপর বিষয়টি দেখা হবে। অন্যদিকে এবিষয়ে জাম্বনীর যুব সভানেত্রী সুমিত্রা মুরমু বলেন, জাম্বনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সমীর ধল ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর পরিবারের সবাইকে টিকিট পাইয়ে দেওয়ার জন্য গ্রামপঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে মনোনয়ন পত্র দাখিল করিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে জেলা ও রাজ্য স্তরে জানিয়েছি।