30 C
Kolkata
Thursday, March 28, 2024
spot_img

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের খাম খেয়ালি পনায় ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে বিরোধী দল গুলির মধ্যে

সন্দীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রাম:

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের খাম খেয়ালি পনায় ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে বিরোধী দল গুলির মধ্যে। ৯ই এপ্রিল রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার এক বিঞ্জপ্তিতে জানিয়েছিলেন ১০ই এপ্রিল সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া হবে। কিন্তু এদিন সকালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা বিডিও অফিসে এসে দেখেন নোটিশ ঝোলানো রয়েছে তাতে বলা হয়েছে আর নতুন করে কোনও মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া হবে না। মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে আসা প্রার্থীদের হয়রানির হতে হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিজেপির পক্ষ থকে ঝাড়গ্রাম জেলার ৮ টি ব্লক অফিসে বিভিন্ন প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে ফিরে এসেছে। বিজেপি নেতৃত্ব অভিযোগ করছে এই সিদ্ধান্ত বদলের ঘটনায় একদিকে যেমন দূরদূরান্তের প্রার্থীরা হয়রান হয়েছে তেমনই যেকটি আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি সেগুলিতে প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হত যদি এদিন মনোনয়ন পত্র জমা করা যেত।এদিন ঝাড়গ্রাম ব্লকের রাধানগর থেকে গ্রামপঞ্চায়েত আসনে বিজেপি প্রার্থী গোবীন্দ মান্ডি ঝাড়গ্রাম বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করতে। তেমনই ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিজেপি প্রার্থী পুস্প সোরেন, সুচিত্রা সহিস এসেছিলেন মনোনয়ন পত্র জমা করতে। কিন্তু তারা হতাশ হয়ে ফিরে যান। আবার গোপীবল্লভপুর দুই ব্লকের তপসিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের আসনে মনোনয়ন জমা করতে ঝাড়গ্রাম মহকুমা শাসকের দফতরে এসেছিলেন শেফালি মহাপাত্র। তিনিও এদিন ব্যার্থ মনোরথে ফিরে যান। এক্ষেত্রে প্রত্যেক প্রার্থীর অভিযোগ, তারা নির্বাচন কমিশনের ঘোষনা শুনে এদিন মনোনয়ন করতে এসেছিলেন। কিন্তু তাদের জানিয়ে দেওয়া হয় এদিন নির্বাচন কমিশন নতুন নির্দেশিকায় জানিয়ে দিয়েছে মনোনয়ন আর করা যাবে না। ফলে টাকা পয়সা খরচ করে অনেক দূরের গ্রাম থকে আসা প্রার্থীদের ব্যাপক হয়রান হতে হয়।

অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও মনোনয়ন ঘিরে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বিশেষত বিজেপি এবং বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের প্রার্থীরা এদিন হাজির হয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মহকুমা শাসকের দফতরে। কেশপুর থেকে হাজির হয়েছিল বিক্ষুব্ধ তৃণমূল, বিজেপির প্রার্থীরা।

এছাড়াও বিভিন্ন ব্লকেও ভীড় করেছিল বিজেপি, বিক্ষুব্ধ তৃমমূলীরা। গাড়ি করে বিভিন্ন গ্রাম থেকে অসংখ্য প্রার্থীদের এদিন দুই জেলার মহকুমা শাসক এবং বিডিও অফিসের দফতরে ভীড় করতে দেখা যায়। ঝাড়গ্রাম ব্লক বিজেপির গ্রামীন সভাপতি বিপুল মাহাতো বলেন, “রাজ্যে গনতন্ত্র থাকলে আজ এদিন দেখতে হত না। আজ মনোনয়ন করতে পারলে আমাদের যেকটি আসনে প্রার্থী দেওয়া বাকি ছিল তা দিতে পারতাম। কিন্তু আমরা হতাশ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হলাম।”

ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথি বলেন, ” নির্বাচন কমিশনের খামখেয়ালি পনার জন্য এই রোদ গরমে চরম হায়রানি হতে হয়েছে। এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা পাওয়ার পর দূর দুরান্ত এলাকা থেকে থেকে টাকা খরচ করে বাসে, গাড়িতে করে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে এসেছিল। কাস্ট সার্টিফিকেটর কারনে অনেক প্রার্থী মনোনয়ন জমা করতে পারেনি। তাই একদিন বাড়তি সময় পেয়ে ভেবেছিল এদিন মনোনয়ন পত্র জমা করবে তারা। কিন্তু তা আর হল না।”

Related Articles

Stay Connected

17,141FansLike
3,912FollowersFollow
21,000SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles