সন্দীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রাম:
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাওয়ার আগে বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ৬ই এপ্রিল রাতে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাই ব্লকের ধনঘোরি অঞ্চলের কুমোরদা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
বিজেপি সুত্রে জানা যায়, এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুমোরদা গ্রামের উত্তম বাগকে বিজেপির পক্ষ থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছিল। ৭ই এপ্রিল সকালে মনোনয়ন পত্র জমা করার কথা ছিল উত্তম বাবুর। অভিযোগ, ৬ই এপ্রিল রাতে তৃণমূল নেতা হিমাংশু মাহাত, সমরেশ মাহাত, প্রদীপ মাহাত'র নেতৃত্বে বাইক বাহিনী ও কিছু লোকজন গোটা কুমোরদা গ্রামে টহল দিচ্ছিল। টহল দেওয়ার সময় আচমকায় উত্তম বাগের বাড়ীতে চড়াও হয়ে তাকে মারধর করতে শুরু করে। সেই সময় তার স্ত্রী গীতা দেবী বাধা দিতে এলে তাঁকে ধরে মারধর করে বলে অভিযোগ। মারধরের জেরে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয় গীতা দেবী। পরে ওই দিন রাতেই তাঁকে ভাঙ্গাগড় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৭ই এপ্রিল সকালে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাকে স্থানান্তর করা হয়।
বিজেপি সুত্রে আরও জানা যায়, এদিন উত্তম বাবু সাঁকরাইল ব্লকে গিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে মনোনয়ন পত্র জমা করেন। এবিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, তৃণমূল গোটা রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে। তাতে আমাদের জেলা ব্যক্তিক্রম নয়। কিন্তু আমরা শক্ত হাতে প্রতিরোধ করছি। পাশাপাশি তিনি প্রশাসনকে সর্তক করে বলেন, ওদের প্রতিরোধ করুন না হলে আমরা শক্ত হাতে এর দমন করবো।
অন্যদিকে তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, এসব দস্তা পচা অভিযোগ চলবে না। এখন ওরা প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বলে যাই হোক করে আমাদের ওপর দোষ চাপাতে চাইছে।