নিজস্ব প্রতিনিধি, হাড়োয়া:
৫ই এপ্রিল হাড়োয়া থানার অন্তর্গত খলিসাদি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা কাজল হালদার হাড়োয়া দক্ষিণ মন্ডলের বিজেপি সভাপতি। তাঁর এলাকার বিজেপি প্রার্থীদের জন্য মনোনয়ন পত্র তুলতে গিয়েছিলেন হাড়োয়া বিডিও অফিসে। সেখান থেকে বেরোনোর পরে হাসপাতালের সামনে পথ আটকে তাঁর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমুলের বিরুদ্ধে।
হাড়োয়ার শালিপুর অঞ্চলের তৃণমুল নেতা মোঃ সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বিজেপি নেত্রী কাজল হালদার বলেন, ‘মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার জন্য দু’নম্বর ফর্ম তুলে ফেরার সময় রাস্তায় আমাকে ধরে বেধড়ক মারধোর করে সালাউদ্দিন ও তার লোকেরা। আমাকে মারতে মারতে টানা হেচরা করে ওরা’। এমনকি তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এই ঘটনার দরুন পুলিশের দ্বারস্থ হন এবং পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দ্বায়ের করেন তিনি। যদিও ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে মহিলাকে ফিরিয়ে দেন পুলিশ।
অপরদিকে এদিন জমির কাজ নিয়ে মিনাখাঁ বিডিও অফিসে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়তে হয় তপন দাস নামে এক ব্যাক্তিকে। এদিন ভোটের জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়েছেন এই সন্দেহে ওই বৃদ্ধকে মারধর করে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
এর পাশাপাশি মিনাখাঁয় চৈতল পঞ্চায়েত থেকে দুই জন বিজেপি কর্মী অফিসের কাজের অজুহাত দিয়ে ভেতরে ঢুকে নমিনেশান ফর্ম পুরন করছিলো, এমন সময় তা জানতে পেরে বিডিও অফিসের ভেতরে তাদের মারধর করে তাদের কাছে থেকে নমিনেশান কেড়ে নিয়ে বিডিও অফিস থেকে বের করে দেয় তৃনমুলের লোকজনকে। মূলত বিরোধী দলগুলির অভিযোগ পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিন থেকে বিডিও অফিসগুলো তৃণমুলের দখলে চলে গিয়েছে। এদিন সেই অভিযোগই সত্যি বলে প্রমাণিত হল মিনাখাঁ বিডিও অফিসে জমি সংক্রান্ত কাজ নিয়ে গিয়ে এক ব্যাক্তির আক্রান্তের ঘটনায়।
তবে বিরোধীদের সকল অভিযোগকে অস্বীকার করে বসিরহাটের সাংসদ ইদ্রিস আলি বলেন, ‘আমরা যেখানে জিতবো, তাহলে আমরা অশান্তি করতে যাবো কেন? ওসব বিরোধীদের মিথ্যে চক্রান্ত’। একইভাবে সাধারণ মানুষের আক্রান্তের ঘটনাকে অসত্য বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।