বেঙ্গলটুডে প্রতিনিধি, ঢাকা:
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের বিরুদ্ধে ভিজিএফের টাকা ও চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তিনজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।
৪ এপ্রিল ইউপি সদস্য হোসেন আলী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জানা যায়, গত বছর সদর ইউনিয়নের একাধিক অঞ্চলের বোরো ফসল বন্যায় তলিয়ে যায়। পরে গত ২২ শে এপ্রিল থেকে সরকারিভাবে গরীব কৃষকদের মাঝে ৫০০ টাকা ও ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া শুরু হয়। তবে ওই তালিকায় তিনজনের নাম থাকলেও তারা সেই টাকা ও চাল পাননি বলে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই তিনজন হলেন ইউনিয়নের রাখাল কান্দি গ্রামের ১০৬৯ নম্বর কার্ডধারী ছালেহা খাতুন, ১০৪৫ নম্বর কার্ডধারী রাবিয়া খাতুন এবং ১১২৪ নম্বর কার্ডধারী বাচ্চু মিয়া। অভিযোগ, ইউপি সদস্য হোসেন আলী তাদের চাল ও টাকা আত্মসাত করেছেন।
এ বিষয়ে বাচ্চু মিয়া জানান, গত বছর ভিজিএফ কার্ডের তালিকা করার সময় তার কাছ থেকে তিন কপি ছবি ও ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়েছিলেন ইউপি সদস্য হোসেন আলী। কিন্তু এরপর তাঁকে আর কিছুই জানানো হয়নি। চাল ও টাকা বিতরণের সময় বাচ্চু মিয়া ইউপি সদস্যকে জানালে তিনি বলেন, ‘তার নাম তালিকায় আসে নাই।’ কিন্তু গত মার্চে সেই তালিকায় বাচ্চুর নাম দেখে তাকে বিষয়টি জানান গ্রামের একজন।
বাচ্চু মিয়া আরও জানান, পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই তালিকায় তার নাম আছে। তবে ইউপি সদস্য তার চাল ও টাকা নিজে তুলে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য হোসেন আলী বলেন, ‘যারা অভিযোগ করেছেন তাদের নাম তালিকায় থাকার বিষয়টি আমি জানি না। তারা কেন পায় না এ বিষয়েও আমি জানি না। আমি কোনো চাউল ও টাকা আত্মসাত করিনি।’
দোয়ারাবাজারের ইউএনও কাজী মহুয়া মমতাজ বলেন, ‘একজন ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিজিএফের চাল ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’