সন্দীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রাম:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
পানীয় জলের অপচয় ঠেকাতে ময়দানে নামল ক্লাব সদস্যরা। রোজ দিন হাজার হাজার লিটার পানীয় অপচয় হয়ে যায় তবুও ভ্রুক্ষেপ নেই কারোর। ঝাড়গ্রাম শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ট্যাপ থেকে সারা দিন রাত ধরে জল পড়ে নষ্ট হওয়ার দৃশ্য খুবই সাধারণ হয়ে গিয়েছে। অথচ এই ঝাড়গ্রাম শহরের সামান্য গরম পড়লেই তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট তৈরি হয়। কিন্তু বছরভর পুর এলাকার কল বিহীন ট্যাপ থেকে জল পড়ে অপচয় হলেও হেলদোল নেই কারোর। এবার তাই জল অপচয় যাতে আটকানো যায় সেই জন্য এগিয়ে এল ঝাড়গ্রাম শহরের ‘কদমকানন ইউনাইটেড ক্লাব’।
ক্লাবের পক্ষ থেকে ১লা এপ্রিল শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়ায় যেসব ট্যাপের মুখে কল নেই সেই সব ট্যাপ চিহ্নিত করে কল বসানো হয়। পাশাপাশি সকাল থেকে ক্লাবের সদস্যরা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে কল লাগানোর কাজ করেন। এক নম্বর ওয়ার্ডের কদমকানন, শিরীষচক, মাঝেরপাড়া, মাঝিপাড়া, বারো নম্বর পাড়া এলাকায় কল লাগানো হয়। এই সব এলাকার ৮ টি ট্যাপে কল বসায় তারা।
ঝাড়গ্রাম শহরের স্থায়ীভাবে পানীয় জল সঙ্কট দূর করতে ঝাড়গ্রাম পুরসভা প্রায় দুশো কোটি টাকার নদী ভিত্তিক পানীয় জল প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। আর সেই জন্য দুশো কিমি পাইপ লাইন বসানো হচ্ছে গোটা শহরে জুড়ে। সামান্য গরম পড়লেই জলের হাহাকার শুরু হয় শহরে। অথচ কেবলমাত্র কল না থাকার জন্য গ্যালন গ্যালন জল শুধু পড়ে নষ্ট হচ্ছে। আর তাই এই জল অপচয় রুখতেই এবার রাস্তায় নেমেছে ক্লাবটি। ক্লাবের সদস্যরা চাইছেন ঝাড়গ্রাম শহরের ১৮টা ওয়ার্ড । প্রতিটি ওয়ার্ডের মানুষ জন যদি একটু সচেতন হয়ে নিজেদের পাড়ার যে সব ট্যাপ খোলা ,জল পড়ে যাচ্ছে সেগুলিতে কল বসান তাহলে জল অপচয় অনেকটাই আটকানো সম্ভব হত।
কদমকানন ইউনাইটেড ক্লাবের সম্পাদক প্রান্তীক মৈত্র বলেন, শহরের বিভিন্ন পানীয় জলের পয়েন্ট গুলিতে কোন কল নেই। সারা দিন রাত নষ্ট হচ্ছে। শহরবাসী যদি একটু সচেতন হন তাহলে অনেকটা জল সাশ্রয় হয়। আমরা চেষ্টা করলাম। সবাই এগিয়ে আসলে এই জল অপচয় রক্ষা করা সম্ভব হবে।