মিজান রহমান, ঢাকা:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
মৌসুমের শুরুতেই হঠাৎ দেশে হানা দিয়েছে কালবৈশাখী, ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। এরপর দেশের নদীবন্দরগুলোতে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। ৩০ শে মার্চ বিকেলে আবহাওয়া অফিস এই তথ্য জানান।
অপরদিকে এদিন বিকেলে হঠাৎ বাংলাদেশের রাজধানীতেও কালবৈশাখী হানা দেয়। দুপুরের পর থেকে কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টিপাত হলেও বিকেল ৪ টার পরে আকাশ একেবারে ঘনকালো রূপ ধারণ করে। ধূলিঝড়ে রাজধানীর সড়কে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। দমকা বাতাসে অনেক হালকা যান ও মোটরসাইকেল আরোহীকে রাস্তার পাশে দাঁড়াতে হয়েছে। সাধারণ পথচারীরা ছুটোছুটি করে বিভিন্ন দোকানের ছাউনি বা বিল্ডিংয়ের কার্নিশে আশ্রয় নিয়েছেন। ঝড়ো হাওয়ায় সব লন্ডভন্ড করে দেওয়ার উপক্রম হলেও বৃষ্টিপাত তেমন হয়নি কোথাও।
অন্যদিকে এদিনের এই কালবৈশাখী ও ঝড়ের সময় রংপুর জেলায় বজ্রাঘাতে ২ জন ও লালমনিরহাটে শিলাবৃষ্টিতে ১ জনের প্রাণহানী ঘটে। এমনকি এদিন রাত ১টা পর্যন্ত দেওয়া এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানান, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, পাবনা, বগুড়া, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদী বন্দরকে ০২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যাবে। সেই সঙ্গে বজ্র ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এসব এলাকার নদী বন্দরকে ০১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মিজানুর রহমান বলেন, এখন কালবৈশাখীর সময়। এটা ঘনঘন হবে। শুক্রবার দেশের সব বিভাগের ওপর দিয়েই এটা বয়ে যায়। তবে সামুদ্রিক সতর্কতা নেই। ভারী বৃষ্টিপাতেরও কোনো পূর্বাভাস নেই। শুক্রবার দেশের সবচেয়ে বেশি ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে তেঁতুলিয়ায়।