সন্দীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রাম:
বেকায়দাতে পড়েও পালিয়ে গেল রয়েল বেঙ্গল টাইগার। কালভাটের তলায় একটি গর্তে লুকিয়ে স্বস্তির ঘুম দিচ্ছিল বাঘ মামা। ৩০শে মার্চ পশ্চিম মেদিনীপুর সদর ব্লকের বাঘঘোরা জঙ্গল এলাকায় বাঘটিকে দেখতে পায় একদল শিকারি। বাঘের হামলায় আহত ৩ জন শিকারি। আহত শিকারিদের নাম নন্দলাল সরেন, পান্ডা মুর্মু ও শুধন সরেন।
বনদফতর ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, এদিন বাঘঘোরার জঙ্গলে শিকারে গিয়েছিল একদল শিকারি। জঙ্গলে শিকারিদের সাথে দেখা হয় বাঘ মামার। বাঘের হামলায় আহত হন ৩ জন শিকারি। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ধেড়ুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শিকারিরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসার সময় জঙ্গলের মধ্যে একটি কালভাটের নীচে ঘুমাতে দেখা যায় বাঘটিকে। এরপরেই খবর দেওয়া হয় বনদফতরের কর্মীদের। তবে বনদফতরের কর্মীরা আসার আগেই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় বাঘটি। অপরদিকে বাঘের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন বনদফতরের কর্মীরা। তবে এদিন আদৌও বাঘ ধরা পড়বে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন।
উল্লেখ্য দীর্ঘ দেড় মাস ধরে লালগড় ও মেদিনীপুর রেঞ্জের বিভিন্ন জঙ্গলে মিলেছে বাঘের পায়ের ছাপ। বাঘ ধরতে হাস্তানাবুড় বনদফতর, পুলিশ প্রশাসন ও সাধারন মানুষজনেরা। পাশাপাশি আতঙ্ক ছড়ায় লালগড়ের বিভিন্ন এলাকায়। বিভিন্ন জায়গায় বাঘের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছিল। তার পরেই বনদফতরের পক্ষ থেকে লাগানো সি সি টিভি ক্যামেরায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি ধরা পড়ে। আর তার পর থেকেই এলাকাতে আরো বেশী করে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে। বনদফতর বাঘকে ধরার জন্য সুন্দর বন থেকে বাঘ বিশেষঞ্জ বিশেষ টিম ও ৪ টি খাঁচা পাতা হয়। ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে বাঘের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু তাতেও অধরাই রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং এদিনও বেকায়দা পড়েও পালিয়ে যায় বাঘ।