শান্তনু বিশ্বাস,গাইঘাটা:
সম্প্রতি মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ২৭শে মার্চ থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষার দরুন রাজ্যের প্রতিটি স্থানেই ছাত্র ছাত্রীরা দিন রাত এক করে নিজেদের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ২৮শে মার্চ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার অন্তর্গত গাঁজনা এলাকায় বেশ ধুমধাম করে অনুষ্ঠিত হয় বাসন্তী পুজো। বিসর্জনের পরের দিন সেখানেই উচ্চস্বরে লাউড স্পিকার বাজিয়ে গান বাজনার আয়োজন হয়। রাত প্রায় ২টো পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান পর্ব চলে বলে এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বর্তমানে এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা।
এক্ষেত্রে স্থানীয় সমাজসেবী শংকর শোন আচার্য বলেন, বর্তমান সমাজে বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে পাড়ার পুজো সকল ক্ষেত্রেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে গান বাজনা থেকে শুরু করে লাউড স্পিকার, ডিজে এই সবের চল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী বেশি জোরে গান বাজনা বা লাউড স্পিকার বাজিয়ে শব্দ দূষণ করা আইনত নিষিদ্ধ। কারন এখন প্রতিটি ঘরে একজন করে অসুস্থ মানুষ থাকেন যাদের এই উঁচু মাত্রায় শব্দ তাদের শারীরিক ক্ষতির কারন। যেমন হার্টের রোগী, বয়স্ক ব্যক্তি, বা ছোট শিশু এদের ক্ষেত্রেও ওই একই নিয়ম প্রযোজ্য। মূলত এই সকল বিষয়ে প্রশাসনকে আরও সতর্ক হতে হবে পাশাপাশি মানুষকে এই সব বিষয়ে আরও সোচ্চার হয়ে উঠতে হবে।
এছাড়া স্থানীয় কিছু পড়ুয়া জানান, এদিনের এই অনুষ্ঠানের জেরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের দিন তারা তাদের পাঠে সঠিক মনোনিবেশ করতে পারেনি। এর দরুন তারা পাড়ার কিছু সদস্যকে ঘটনার বিষয় জানালে তারা এই বিষয়ে কোন প্রকার কোন সাহায্য করেনি বলেই জানা যায়।
উল্লেখ্য, মহামান্য আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ১৯৮১ সালে প্রিভেনশন অ্যান্ড প্রোটেকশন অফ পলিউশন কন্টোল অ্যাক্ট অনুযায়ী ৬৫ ডেসিবেলের ঊর্ধ্বে শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। সেই অনুযায়ী আমাদের পারিপার্শ্বিক কোলাহল বা শব্দের জন্য সকাল ৬ টা থেকে রাত্রি ১০ টা পর্যন্ত ৫৫ ডেসিবেল শব্দ ব্যবহার করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে ৬৫ ডেসিবেলের ঊর্ধ্বে শব্দ ব্যবহার করলে শর্তানুযায়ী ৫০০০ টাকা জরিমানার নির্দেশ রয়েছে ওই আইন অনুযায়ী।