পল মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
প্রশ্ন থেকে গিয়েছে প্রচুর। জাল ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট। দুটো নোট দোকানদার পেয়েছে দোকানে বিকিকিনি করতে গিয়ে। হতাশ হয়ে গিয়েছে তারা টাকার আসল রূপ চিহ্নিত না করতে পেরে। তাই তাদের মোটা অঙ্কের টাকার ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাত্রি ৮টা নাগাদ বর্তমান ভারতের প্রধান মন্ত্রী সোনালী স্বপ্নের আশা নিয়ে ১২৫ কোটি ভারতবাসী কে ঠেলে দিয়েছিলেন নোট বন্দির কালা অমাবস্যায়। তবুও ভারতবাসী তা গ্রহণ করেছিলেন দেশকে বিশ্বের দরবারে এগিয়ে নিয়ে যেতে। কেউ লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রাণ দিয়েছিলেন, কেউ বা হারিয়েছেন নিজের স্বজন কে। তাও মাথা পেতে নিয়েছেন শুধু সাদা দেশ গড়ার লক্ষ্যে। কেউ বা অনাহারে ভুগছিল, কেউ বা টাকা বাঁচানোর আশা। দিশেহারা হয়েছিল ১২৫ কোটি ভারতবাসী।
গেরুয়া মহল থেকে বর্তমান ভারতের প্রধান মন্ত্রী পর্যন্ত অনেক প্রুতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাত্রি ৮টা নাগাদ নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর থেকে ও সোনালী স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তারা। তার সফলতার প্রশ্ন থেকে গিয়েছে এখনও।
নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর থেকে এর তীব্র সমলোচনা করে এসেছেন উত্তর থেকে দক্ষিন, পুর্ব থেকে পশ্চিম এর বিভিন্ন রাজনৌতিক মহল। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নোট বাতিলের ১বছর পূর্তিতে ২০১৭ সালে সমস্ত রাজ্যজুড়ে ৮ নভেম্বর নোটবন্দির কালা দিবস পালন করেন।
দেখতে দেখতে প্রায় ১ বছর ৩ মাস কেটে গেল, কালো টাকা উদ্ধার, জাল টাকার হাত থেকে রেহাই, ইত্যাদি বিষয়ে নানার প্রশ্ন জবাব নেই বলে এক ঝাঁক উওরের তির ছুড়ে দিয়েছেন বিরোধী মহল।
নোট বাতিলের পর থেকে সমস্যায় পড়েছে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে কৃষকরা। দৈনন্দিন জীবনে সমস্যার স্বীকার হয়েছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কৃষক এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষ। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকানে বিকিকিনি করতে গিয়ে কখনো খুচরোর সমস্যা আবার কখনো নোট ভাঙ্গানোর সমস্যার নিত্য সম্মুখীন হতে হয়েছিল ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায় মোটা অঙ্কের ক্ষতি সাধন করেছিল ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে নোট ভাঙ্গানোর সমস্যা মিটলেও খুচরোর টাকার সমস্যা থেকেই গিয়েছে। নোট বন্দীর রেশ কাটিয়ে উঠতে কি না উঠতে দেখা মিলছে জাল টাকার।
কিন্তু এবার চিত্রটা একটু আলাদা বাজারে ঘুড়ছে ৫০০ ও ২০০০ টাকার জাল নোট। প্রায়শ শিউরে উঠছে ব্যবসায়ীরা। কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জাল নোট ছড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশে জাল নোট কারবারিরা। নানা জায়গায় দেখা মিলেছিল জাল নোট সহ গ্রেপ্তার দুষ্কৃতী, আবার আন্তঃদেশীয় জালনোট পাচারকারী কিংপিন গ্রেপ্তার। তবুও কি ঠেকানো গিয়েছে জাল নোটের কারবার। প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়।
নোট বন্দীর সফলতার, কালো টাকার উদ্ধার, কালো টাকার দুর্নীতির প্রভৃতি প্রশ্নের উওর এখনও অজানা থেকে গিয়েছ সাধারণ মানুষের।