সন্দীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রাম:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
জেলাসফরে এসে রেশন ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেই ঝাড়গ্রাম সফরে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং খাদ্য সচিব সমস্ত আধিকারিক, ডিলার ডিস্ট্রিবিউটর, কন্ট্রোলারদের নিয়ে উচ্চপর্যায় মিটিং এ বসেন। কড়া ভাষায় সচিব ও মন্ত্রী সবাই কে হুশিয়ারী দেন কোনো ভাবেই জঙ্গলমহলে রেশন ব্যাবস্থা নিয়ে কোনো অভিযোগ বরদাস্ত করা হবে না। চাল সঙ্কট মেটাতে এবার স্বসহায়ক দল ও লোকশিল্পীদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই মিটিং থেকে।
এদের মাধ্যমে ডায়রেক্ট পারচেজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের চাল ও আটা দেওয়ার জন্য শোকজ করা হয় একটি ফ্লাওয়ারমিল, একজন ডিস্ট্রিবিউটর ও একজন ডিলারকে। খারাপ চাল সরবরাহ ও রসিভ দু ক্ষেত্রেই কড়া ব্যবস্থার হুশিয়ারি দেন। ত্রিস্তরীয় ইনসপেকশন করা হবে জঙ্গল মহলে। বিশেষ নজর দারির জন্য জঙ্গল মহলের ২৯ টি ব্লকে ১ জন করে স্পেশাল ইন্সপেক্টর নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সুবন্টনের লক্ষ্যে ঝাড়গ্রামের ২ টি মহকুমায় ২টি নতুন সাবডিভিশনাল কন্ট্রোলিং অফিস তৈরী করা হচ্ছে। সারা জেলায় নতুন ৭ টি গোডাউন তৈরী করা হচ্ছে।
এছাড়াও ৩০হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতা সম্পন্ন উন্নত প্রযুক্তির আলাদা গোডাউন হওয়ার কথাও জানান। জঙ্গল মহলে অভাবি ধান বিক্রি বন্ধ হয়েছে। তবে সরকারি ভাবে কেনা ধানের পরিমান লক্ষ্য মাত্রা পৌছাতে স্বসহায়ক দল ও লোকশিল্পীদের কাজে লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভাবি বিক্রি বন্ধ, চালের বরাদ্দ লক্ষ্যমাত্রা পূরন এবং খারাপ রেশন দ্রব্য বন্টন রোধে সরকারের কঠোর বার্তা দেন খাদ্য মন্ত্রী।