অরিন্দম রায় চৌধুরী, দমদমঃ
ফেসবুকে প্রায়সি দেখা যায় নানা মানুষ নানা গল্প কিম্বা কবিতা লিখে নিজের ওয়ালে পাবলিশ করে থাকেন। এমনই একটি কবিতা ফেসবুকে পাবলিশ হয় আর তারপর সেই কবিতা চুরি করা হয়েছে বলে প্রতিবাদ জানানোয়ে ঘটলো এক ন্যক্কারজনক ঘটনা। যা কোন সভ্য জগতে হয়ে কিনা তা হয়েতো অনেকেরই জানা নেই। খবরের প্রকাশ বাবার লেখা কবিতা অন্যের নামে ফেসবুকে প্রকাশিত হওয়ায় প্রতিবাদ করেন এক তরুণী। ফলস্বরূপ ওই তরুণীর নাম এবং ফোন নম্বর এসকর্ট সার্ভিসের তালিকায় সুপার ইম্পোজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে দমদমে। অভিযোগ, তারপর থেকে ক্রমাগত ওই তরুণীর কাছে কুপ্রস্তাব দিয়ে ফোন আসছে। লজ্জায় আপাতত নিজেকে ঘরবন্দী করে ফেলেছেন তরুণী। ঘটনার জেরে দমদম থানা ও লালবাজারের সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের তরুণীর পরিবারের।
যাঁর কবিতা নিয়ে গণ্ডগোল, অভিযোগকারী তরুণীর বাবা জানিয়েছেন, “আমার কিছু গল্প, দুটি উপন্যাস এবং কিছু কবিতার সংকলন প্রকাশিত হতে চলেছে। সেখান থেকেই আমার মেয়ে বাছাই করা কিছু কবিতা ফেসবুকে আপলোড করেছিলেন। সম্প্রতি দেখা যায়, এক মহিলার প্রোফাইলে সেই কবিতার কিছু অংশ পোস্ট করা হয়েছে।”
হঠাৎই এক মহিলা নিজের নামে তাঁর বাবার কবিতাগুলি পোস্ট করেছেন দেখে দমদম থানা এলাকার ওই তরুণী ফেসবুকেই প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযোগ করে। অভিযোগ এর পরেই তরুণীর নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে দেওয়া হয় এসকর্ট সার্ভিসে। এমন কী তরুণীর ছবি সুপার ইমপোজ করা হয়। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় তরুণীর নাম ও ফোন নম্বর। তারপর থেকেই কুপ্রস্তাব দিয়ে তরুণীর কাছে ফোন আসতে থাকে। এই মুহূর্তে লজ্জায় নিজেকে ঘর বন্দি করে ফেলেছেন ওই তরুণী।
যাঁর কবিতা নিয়ে গণ্ডগোল, অভিযোগকারী তরুণীর বাবা জানিয়েছেন, তাঁর কিছু গল্প, উপন্যাস, কবিতা সংকলন প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায়। এরই কিছু কিছু বাছাই করা অংশ নিজের মেয়ে ফেসবুক-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছিলেন। সম্প্রতি দেখা যায়, এক মহিলার প্রোফাইলে সেই কবিতার কিছু অংশ পোস্ট করা হয়েছে। প্রতিবাদ করেন ওই তরুণী। অভিযোগ এরই পাল্টা হিসেবে দুষ্কৃতীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সুপার ইমপোজ করা ছবির সঙ্গে তরুণীর নাম ও ফোন নম্বর দিয়ে দেয়। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় বিষয়টি।
স্থানীয় দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর লালবাজারে সাইবার ক্রাইমেও অভিযোগ জানিয়েছে তরুণী ও তার পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।