Webdesk, Bengal Today:
এক যুবতিকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার স্বামী ও শ্বশুর। পলাতক শাশুড়ি। মৃতের নাম দীপিকা রায় (২২)। ঘটনাটি আমতা থানা এলাকার দক্ষিণপাড়ার।
আড়াই বছর আগে পাঁচলার দেউলির বাসিন্দা দীপিকার সঙ্গে জয়দীপ রায় নামক এক যুবকের বিয়ে হয়। জয়দীপ উলুবেড়িয়ার কুশবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মী। অভিযোগ, বিয়ের ৬ মাস পর থেকে দীপিকার উপর অত্যাচার শুরু করে জয়দীপ। মেয়ে জন্মানোর পর অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়ে। মেয়ের বয়স বর্তমানে ১ বছর ৩ মাস। দীপিকার পরিবারের তরফে অভিযোগ, মেয়েকে একদম সহ্য করতে পারত না জয়দীপ। কোলেও নিতে চাইত না। কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার ‘অপরাধে’ বেধড়ক মারধর করত দীপিকাকে।
১লা ফেব্রুয়ারি দীপিকার সঙ্গে জয়দীপের ঝামেলা হয়। রাতের দিকে দীপিকার মৃত্যুর খবর পায় পরিবার। শ্বশুরবাড়িতে আসেন দীপিকার বাবা ও জামাইবাবু। জয়দীপ দাবি করে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে দীপিকা। যদিও জামাইবাবু সঞ্জীব পাত্রের অভিযোগ, "শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কোনওভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে না। এটা খুনই।"
পুলিশি সুত্রে খবর, এই ঘটনায় আমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর জেরেই পুলিশ এদিন রাতেই দীপিকার স্বামী জয়দীপ ও শ্বশুর বিমল রায়কে গ্রেপ্তার করে। ২ রা ফেব্রুয়ারি তাদের উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হয়। বর্তমানে তাদের ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।