সন্দীপ ঘোষ, ঝাড়গ্রাম:
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
পঞ্চায়েতের উদাসীনতার কারনে পানীয়জলের সমস্যা জামবনি ব্লকের মুড়াকাটি গ্রামে।দীর্ঘ চারমাস গ্রামের একমাত্র সাবমারশেবল পাম্পটি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। বারেবারে স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধানকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। ফলে ক্ষোভের সঞ্চার এলাকাবাসীর মধ্যে। গরমের ছোঁয়া লাগতে না লাগতেই তীব্র পানীয় জল সংকটে ভূগছে জামবনি ব্লকের মুড়াকাটি গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের এক মাত্র ভরসা ছিল গ্রামের মধ্যে থাকা একটি সাবমারশেবল। আগে এই সাবমারশেবল পাম্পের জল খাওয়া দাওয়া, স্নান থেকে শুরু করে সমস্ত কাজেই ব্যবহৃত হত। কিন্তু সেটিও গত চার মাস আগে অকেজো হয়ে গিয়েছে। যার ফলে বাধ্য হয়েই গ্রামবাসীরা প্রায় এক কিলোমিটার দূরে চাষের জমিতে লাগানো মিনি ডিপটিউবওয়েল থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করছেন। প্রশাসন সাবমারশেবলটি সারানোর কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভের দানা বাঁধছে গ্রামবাসীদের মাধ্যে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসনকে বারে বারে অবেদন নিবেদন করেও কোনও সুরাহ হয়নি।জামবনি ব্লকের নয় নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুড়াকাটী গ্রামে প্রায় একশো সত্তরটি পরিবারের বসবাস।যার মধ্যে ওই সাবমারশেবলটি ব্যবহার করতো প্রায় তিরিশ থেকে পঁয়ত্রিশটি পরিবার। গ্রামের মধ্যে কুঁয়ো থাকলেও গরম পড়তে না পড়তেই জলস্তর নেমে যাওয়ার ফলে কুঁয়োর জল প্রায় শুকিয়ে গিয়েছে।আর যে কটি কুঁয়োতে জল রয়েছে সেগুলিতে মিলছে ঘোলা জল।যা পান করার একেবারেই অযোগ্য। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই এক কিলোমিটার দূরে ধান ক্ষেতের উঁচু নিচু পথ পায়ে হেঁটে জমিতে লাগানো মিনি ডিপটিউবওয়েল থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করছেন গ্রামবাসীরা।
মুড়াকাটী গ্রামের বাসিন্দা বিজল পাল, পুস্প পাল, চপলা পাল, বিশ্বেশ্বর পাল’রা বলেন, গ্রীষ্মের সময় গ্রামবাসীদের একমাত্র ভরসা ছিল সাবমারশেবলটি। গত নভেম্বর মাসে সাবমারশেবলটি খারাপ হয়ে যায়। তারপর থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি।
এবিষয়ে কেন্দাডাংরি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রীযতন রানা বলেন, সাবমারশেবল খারাপ হয়েছে সেটা আমাকে ফোন করে বলেছিল। আমি গ্রামবাসীদের বলেছিলাম লিখিত ভাবে আবেদন করতে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কেউ আমাকে লিখিত আবেদন দেননি। সব জিনিসের একটা পদ্ধতি থাকে। সেই পদ্ধতি ছাড়া কাজ হয়না।