শান্তনু বিশ্বাস, বাদুড়িয়া:
উত্তর চব্বিশ পরগনার বাদুড়িয়ার অন্তর্গত শেরপুর এলাকার যদুরহাটি বালিকা বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক পরীক্ষাতার্থী টানা ২৭ দিন ধরে যুদ্ধ করেও অবশেষে ক্যান্সারের কাছে হার মানল। মৃত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর নাম পাপিয়া খাতুন।
গত ২৭দিন আগে ক্যান্সারের বাড় বাড়ন্তর জেরে ভর্তি করা হয় কলকাতার আর.জি.কর হাসপাতালে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে এই জীবন যুদ্ধে জয় লাভ করতে পারল না। ১৬ই মার্চ হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। পাপিয়ার স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা করে বড়ো হয়ে শিক্ষীকা হবে। আর তার জন্য সে পড়াশোনা জোর কদমে করত। এমনকি এলাকার মেধাবী ছাএী হিসাবেও পরিচিত ছিল। এবছর তাঁর জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পাপিয়ার পরীক্ষার সিট পড়েছিল বাদুড়িয়া কাদম্বিনী বালিকা বিদ্যালয়ে। এই স্কুলের শিক্ষিকারা তার রোল নম্বরটাও বেঞ্চে লাগিয়েছিলেন। আর পরীক্ষার সময় তার অনুপস্থিতি দেখে শিক্ষিকারা জানতেও চেয়েছিলেন। তারা হয়তো জানতে না ওই সিট খালি থাকার ঠিক কি কারন। তবে এদিন হয়ত জানতে পারলেন তাঁর আসল কারন।
স্থানীয় সুত্রে খবর, পাপিয়ার বাবার নাম আনোয়ারুল মণ্ডল। পেশায় চাষী। তাঁর মায়ের নাম জাহানারা বিবি একজন গৃহবধূ। পাপিয়া সহ ৪ ছেলেমেয়েদের নিয়ে কোণ রকমে সংসার চালান আনোয়ারুল মণ্ডল। সব সন্তানদের মধ্যে পাপিয়া খাতুন ছিলো মেধাবী এবং মিসুখে। এমনকি যদুরহাটি বালিকা বিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্রীদের মধ্যে অন্যতম ছাত্রী ছিল পাপিয়া। ১৬ই মার্চ তাঁর মৃত্যুর পর ১৭ই মার্চ বাড়ির উঠানে পাপিয়ার নিথর দেহ এসে পৌঁছায়। আর তাকে শেষবারের জন্য দেখতে হাজির হয় এলাকার মানুষ সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকারা। বর্তমানে এলাকায় নেমে আসে গভীর শোকের ছায়া।