অরিন্দম রায় চৌধুরী, ব্যারাকপুর, ১লা আগষ্ট ২০২১ঃ ২০২১ সালে লকডাউনের মধ্যে গত তিন মাসে কোথাও কোনও রক্তদান শিবিরের আয়োজন খুব একটা চোখে পড়েনি কারোর। রোজই খবর হচ্ছে হাসপাতালগুলিতে রক্তের আকাল। রক্তের অভাবে প্রাণ দিতে হচ্ছে রোগীদের। টাকা দিয়েও মিলছে না প্রয়োজনীয় গ্রুপের রক্ত। অথচ থ্যালাসেমিয়া-সহ বেশ কিছু জটিল রোগের চিকিৎসার প্রয়োজনে রক্তের প্রয়োজন কারন ইতিমধ্যেই ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি রক্তশূন্যতায় ভুগছে । আর বাঙালি মাত্রই হইহুল্লোড়, ভূরিভোজে অতিথি আপ্যায়নেই ব্যাস্ত থাকেন অনেকেই। কিন্তু সেই বাঙ্গালীর মধ্যেই এই গ্রীষ্যকালিন রক্ত সঙ্কটের সময় রক্তদানের মতন মহৎ কর্মে এগিয়ে এলেন উত্তর ২৪ পরগনার পলতার একটি পরিবেশ বান্ধব সংগঠন “শীতল ছায়া”। করোনা আবহে রক্তের প্রয়োজনীয়তা ফের একবার উপলব্ধি করেছেন সকলে। তাই এই ধরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এগিয়ে আসেন অনেক স্থানীয়রা যাদের মধ্যে দেখা গেল মহিলাদের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। তাঁদের এই রক্তদানের আয়োজন, ১লা আগষ্ট ২০২১ এর দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখলেন সকল এলাকা বাসীর কাছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!
এই দিন দেখা গেল করোনা বিধি মেনে আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি থাকল রক্তদান শিবির। এদিন শীতল ছায়ার রক্তদান কেন্দ্রের মঞ্চে দেখা যায় এলাকার বেশ কয়েকজন নামজাদা ডাক্তারবাবুদের যাদের মধ্যে ছিলেন, ডাঃ ডি.এন বিশ্বাস, ডাঃ শিরিশ ধর, ডাঃ সুকেশ বেরা, ডাঃ শুস্বত দাস, ডাঃ আর.কে সরকার, ডাঃ আসিম সরকার, ও ডাঃ বিরুপাক্ষ্য নাথ সরকারের মত ডাক্তাররা।
এমনকি এদিন দেখা যায় মঞ্চে উপস্থিত এলাকার আরও বেশ কিছু সমাজকর্মী মানুষেরা যাদের মধ্যে একদিকে যেমন “মৈত্রি” ও অপরদিকে “সাকো” -র মত সমাজ কল্যানে ব্রতী সংগঠনের কর্মীরা। এদিনের এই রক্তদান শিবিরে শীতল ছায়ার সম্পাদক মিথুন বিশ্বাসের হাতে মৈত্রীর তরফ থেকে তুলে দেওয়া হয়ে একটি স্মারক।
মঞ্চে একদিকে যেমন উপস্থিত ছিলেন শীতল ছায়ার সভাপতি শুভঙ্কর বিশ্বাস আবার অপরদিকে দেখা গেল অপরদিকে এলাকার শিক্ষক ও উক্ত রক্তদান শিবিরের সভাপতি অশোক মজুমদার। শতাধিক দাতাদের থেকে সংগৃহীত রক্ত তুলে দেওয়া হয় উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টারে হাতে। আয়োজকদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাঁদের কুর্নিশ জানাই আমরাও।