শান্তনু বিশ্বাস, দেগঙ্গাঃ
দেগঙ্গা থানার অন্তর্গত নিকরেহাটি মা শীতলা রোড এলাকায়। প্রায় ৭০ বছরের বেশি দিন ধরে পাড়ায় শীতলা পূজো হচ্ছিল। আগামীকাল ছিল সেই পূজো। তাই সন্ধ্যা থেকেই লাউড স্পিকারে বাজছিল গান। সবাই আনন্দেই ছিল। কারণ চলছিল ঠাকুর আনার প্রস্তি। হঠাৎ সব আনন্দ কেমন যেন মাটি হয়ে গেল। সন্ধ্যা সময় লক্ষী মালাকার শুয়ে ছিল তার নিজের ঘরে। বৃদ্ধ শাশুড়ী উঠানে বসেছিল, বাড়ীর দুই ছেলে তখন পাড়ার পূজো নিয়ে ব্যস্ত। হঠাৎই বাড়ীর পিছন দিকে সন্ধ্যে নাগাদ আগুন দেখতে পায় লক্ষী দেবী। কোন রকমে লক্ষী দেবী ঘর থেকে বার হলে আর কিছু বার করতে পারেন নি। ঘরের পিছনে ছিল গরু ঘর আর সেখানেই আগুন লাগে। ঘরে ছিল একটি গরু যেটি ৭মাসের গাভীন অবস্থায় পুড়ে মারা যায়। আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় আয়ত্বে আনতে পারা যায় নি। বাড়ীর পাশে দুটি বাড়ীতেও আংশিক ভাবে আগুন লাগে। এলাকা বাসী সেচের মেশিন দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। তাতে আগুন আয়ত্বে আনতে পাড়েনি।
অপরদিকে দমকল কে খবর দিলেও রাস্তা সরু হওয়ার দরুন দমকল ইঞ্জিন ঘটনা স্থানে আসতে দেরি করে। তাদের অনেকটা ঘুরে আসতে হয় ঘটনা স্থলে। পরে একটি দমকল ইঞ্জিন যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তত ক্ষনে সব পুড়ে ছাই। এলাকা বাসীর অভিযোগ, তাদের রাস্তার খুব খারাপ অবস্থা তার সাথে দুটি পোল আছে যা খুব সরু। তাদের আরো অভিযোগ কুমড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে পরে যে পোলগুলি তা যদি একটু চওরায় বড়ো হত, তাহলে এত বড়ো দূর্ঘটনা হতনা। গ্রামটি প্রায় বর্ডার এলাকার মত কিছু টা হাবরা থানার কিছু টা দেগঙ্গা থানার অধীনে। লক্ষী দেবীর বড়ো ছেলে বিজয় মালাকার পুকুর লিজ নিয়ে মাছের ব্যাবসা করে, তিনি জানান, "দুইদিন আগে মাছ বিক্রী করেছি। ২ লক্ষ টাকা ক্যাশ ছিল এবং ঘরের যাবতীয় আলমারি, ফ্রিজ সব পুরে যায় এছাড়া প্রায় ৫ ভরির মত সোনা জিনিস ছিল। সব শেষ কাল কি করবো, কি খাবো, কোথায় থাকবো, কিছু বুঝতে পারছিনা।" কি ভাবে আগুন লাগলো তা তদন্ত করে দেখছে দেগঙ্গা থানা।